শনিবার জম্মুতে পিডিপির অফিসে হামলা করল কিছু রাজনৈতিক কর্মী। শুক্রবার মেহ্বুবার মন্তব্যের জেরেই এই হামলা। তিনি বলেছিলেন জম্মু -কাশ্মীরের পতাকা উত্তোলন করতে না দিলে তিনি জাতীয়তা পতাকা উত্তোলন করবেন না। তার এই মন্ত্ত্ব অবশ্য দেশজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
এক বছররেরও বেশি সময় আটক থাকার পর মুক্তি দেওয়া হয়েছে মেহবুবাকে। তিনি ছিলেন তদানীন্তন জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তার সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার চালিয়েছিল বিজেপি। তাঁর বাবা মুফতি মুহাম্মদ সঈদের সঙ্গেও বিজেপির সুসম্পর্ক ছিল। তিনি এনডিএর সঙ্গে পা মিলিয়ে চলতেন। তারপরও মেহবুবাকে আটকে থাকতে হল একবছরেরও বেশি সময়। মুক্ত হবার পর শুক্রবার ছিল তাঁর প্রথম সভা। যেখানে তিনি পরোক্ষভাবে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার কথা বলেন।
আরও পড়ুন :মুহাম্মদ (PBUH)-এর কার্টুনে মদত, কুয়েতে বয়কট ফ্রান্সের পণ্য, প্রতিবাদ আরব ব্যাবসায়ীদেরও
এদিন কট্টর দক্ষিণপন্থীরা যখন পিডিপি অফিসে হামলা করে তখন সেখানে হাজির ছিলেন পিডিপি বিধায়ক তথা দলের মুখপাত্র ফিরদৌস তাক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় নেতা পারভেজ ওয়াফা। এমন দাবি করেন দুজনে।
তাক জানান হামলাকারীরা তাদের পার্টি অফিসে জাতীয়তা পতাকা লাগিয়ে চলে যায়। পরে পুলিশ এসে তা সরিয়ে নিয়ে যায়। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান , তাঁরা কোনোমতে প্রাণে বেঁচেছেন। কেউ আহত হননি। ওরা স্লোগান দিচ্ছিল। পুলিশ এসে তাদের নিরাপদে অফিসের বাইরে নিয়ে যায়। মেহবুবার মন্তব্যের কারণেই যে হামলা তাতে এই নেতাদের কোনও সন্দেহ নেই।
Condemnable! Who ever has committed this despicable act must be brought to book @JmuKmrPolice @dcjammuofficial. There should not be any excuse in dealing with such anti social elements in Jammu. https://t.co/hWHQJSV0r2
— Imran Nabi Dar (@ImranNDar) October 24, 2020
বিজেপির ‘মিথ্যা প্রচারের’ মোকাবিলা করতে তৈরী হয়েছে গুপকার আল্যায়েন্স। এই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মনোনীত করা হয়েছে ফারুক আব্দুল্লাকে। শনিবার বৈঠকে গুপকার জানিয়েছে তারা দেশবিরোধী নয়। কিন্তু তারা অবশ্যই বিজেপি বিরোধী। তাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যাচার বিজেপি করে আসছে তার মোকাবিলা করায় তাদের কাজ।
বিহার ভোটের ঠিক আগে ছাড়া হয়েছে মেহবুবাকে। তারা নিজেদের মর্যাদা ফিরে পাবার চেষ্টা করবে সেটা নয়াদিল্লি জানে। যেই তারা এই কাজ একটু বড় আকারে করবে , বিজেপি আর একবার ‘ভারত মাতার জয়’ স্লোগান দিয়ে বিহার ভোটে বাজার মাত করার চেষ্টা করবে। করোনা ইস্যুর থেকে সেটা বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মেহবুবাকে সেই হিসাবে নিজেদের সঠিক টাইমিং দেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মনে করছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন : ইস্তফা নয়, সকালের ‘অভিমান’ ভুলে দুপুরেই প্রত্যাবর্তন সৌমিত্রর, কিছুই জানেন না দিলীপ