করোনা আক্রান্ত নয়াবাদের বৃদ্ধ আশঙ্কাজনক, দিতে হয়েছে অক্সিজেন সাপোর্ট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: প্রবল শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত এশহরের কোভিড ১৯-এর দশম রোগী। পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি তিনি। নয়াবাদের বাসিন্দা, ৬৬ বছরের ওই বৃদ্ধ উচ্চ রক্তচাপের রোগী। নিয়মিত ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। এ ছাড়া তাঁর কোনও দীর্ঘ দিনের রোগ নেই। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়। অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে।

আরও পড়ুন: জেনে নিন, কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি

হাসপাতাল সূত্রে খবর, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। যে হেতু তাঁর অন্য কোনও ধরনের সংক্রমণ নেই তাই আশাবাদী চিকিৎসকরা। আর সেই কারণেই ভেন্টিলেটরের সাহায্য এখনই নেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।

ওই বৃ্দ্ধের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত সরাসরি বা ঘুরপথে কোনও বিদেশ যোগ পায়নি স্বাস্থ্য দফতর। ঠিক যেমন ভাবে কয়েক দিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত দমদমের প্রৌঢ়ের ক্ষেত্রেও তেমন কোনও যোগ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ৬৬ বছরের ওই ব্যক্তি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। গত ১২ মার্চ তিনি স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ এবং চার বছরের নাতনিকে নিয়ে গিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে। ১৩ তারিখ ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। ১৫ মার্চ ছিল বৌভাত। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ওই অনুষ্ঠানে প্রায় ৮০০ জন নিমন্ত্রিত হাজির হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: লকডাউনের জেরে দোকানে মিলছে না ওষুধ, হোম ডেলিভারির অনুমোদন দিল কেন্দ্র

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৌভাতের পর দিন অর্থাৎ ১৬ মার্চ আক্রান্ত ব্যক্তি দিঘাতে যান একটি কাজে। সেখানে গিয়ে তাঁর জ্বর হয়। এগরাতে ফিরে আসেন তিনি। সেই সময় জ্বর আরও বাড়তে থাকলে তিনি সেখানেই রক্ত পরীক্ষা করান। বৃহস্পতিবার ওই আক্রান্তের ছেলে বলেন, ‘‘১৪ মার্চ থেকেই সামান্য অসুস্থ বোধ করছিলেন বাবা। কিন্তু সেটা মারাত্মক ছিল না। ওই রক্ত পরীক্ষায় বাবার টাইফয়েড ধরা পড়ে। তার পরই ২৩ মার্চ এগরা থেকে সোজা তাঁকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”

বুধবার পঞ্চসায়রের ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে। রাতেই সেই নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা এগরাতে আক্রান্তের আত্মীয়ের বাড়ি যান। সেখানে তাঁরা খোঁজ করেন যে, ওই বাড়ির কেউ সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছেন কি না। প্রাথমিক ভাবে কোনও বিদেশ যোগ পাওয়া যায়নি। আক্রান্তের ছেলেও বলেন, ‘‘আমরা এখনও আত্মীয়দের মধ্যে এমন কাউকে খুঁজে পাইনি যিনি বিদেশ গিয়েছিলেন।”

আরও পড়ুন: বাজারে দেদার বিকোচ্ছে ‘করোনা বার্গার’! টেস্ট করে দেখবেন নাকি?

তবে স্বাস্থ্য দফতর প্রাথমিক ভাবে দু’টি সম্ভাবনার কথা ভাবছে। এক, আত্মীয়দের মধ্যে কেউ ভিন্‌রাজ্য থেকে এসেছেন কি না, যেখানে কোভিড-১৯ ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে। দুই, নিমন্ত্রিতদের মধ্যে কেউ বিদেশ গিয়েছিলেন কি না। তবে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরাও মানছেন, এই প্রক্রিয়ায় উৎস খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টকর। তৃতীয় একটি সম্ভবনার কথাও তাঁরা ভাবছেন— আক্রান্ত ব্যক্তি কলকাতাতেই বিদেশ থেকে আসা কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন কি না?

Gmail 7

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest