সুবিদ আবদুল্লাহ্
ছিল সংবিধান বাঁচানোর লড়াই মঞ্চ। দিল্লীর শাহীনবাগের অনুকরনে। সেই মঞ্চ হয়ে গেছে, লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষের সহায়তা কেন্দ্র।
জানা গেছে, কেন্দ্রের সিএএ, এনপিআর বিরোধিতায় ধরনায় বসেছিলেন মহিলারা। মুর্শিদাবাদের নওদায়। দিল্লীর শাহীনবাগের অনুকরনে। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে সেই ধরনা আর নেই। তবে প্রতিকী হিসেবে মঞ্চ থেকে গেছে। সেই মঞ্চ এখন ব্যবহার হচ্ছে মানবসেবার কাজে। মঞ্চের মেয়েরা এখন ঘরবন্দি অসহায় মানুষের সহায়তার জন্য লড়ছেন।
আরও পড়ুন: ডেলিভারি বয় মুসলিম! তাই মুদির সামগ্রি ফেরত, গ্রেফতার মহিলা
মুর্শিদাবাদের নওদা থানার পাটিকাবাড়ি গ্রাম।গ্রামের ঠিক মাঝখানে বাজার। যে বাজার হিন্দু মুসলমানের ধর্মীয় সহাবস্থানে একটা নজির। যে গ্রাম ধর্মীয় মেরুকরণে বিভক্ত ছিল না কখনও, সেখানকার বাজারেও মেরুকরণের ছাপ থাকতে পারে না। জানাচ্ছেন, নওদার ধরনা মঞ্চের অন্যতম আয়োজক নিয়ামুল কবীর। তিনি জানাচ্ছেন, সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম বসবাসের নওদা ব্লকের ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ কখনও প্রতিবেশি মানুষদের দ্বারা ভীত ছিল না। আজও নেই। কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী আইন সিএএ, এনপিআর ঘোষিত হওয়ার পর দিল্লীর শাহীনবাগে ধরনায় বসে মহিলারা। দিল্লীর অনুকরনে মুর্শিদাবাদের নওদায় ধরনা মঞ্চ তৈরি হয়। টানা দু’মাস ধরনার পর তাতে ছেদ টানে লকডাউন। মঞ্চ অক্ষত থাকে। জনচেতনার প্রতীক হিসেবে।
বর্তমানে মঞ্চের সেইসব মহিলারা পাড়ায় ঘুরে ঘুরে করোনা সচেতনতা প্রচারের কাজ করছেন। তার পাশাপাশি মেয়েরা বাড়ি বাড়ি ঘরিছেন। খোঁজ নিচ্ছেন কোন পরিবার কষ্টে আছে। তাদের বাড়ি প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে হাজির থাকছেন সালমা, সাহেবা, নাসরিন বানু। ওদের উদ্যোগে সহায়তা দিচ্ছেন সমাজসেবী নিয়ামুল কবির, আংরেজ মন্ডল, সাজদ্দিন হালসোনা, হাসানুজ্জামানরা।
আরও পড়ুন: চার দিনে ২০ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত করোনায়, কলকাতা মেডিক্যাল নিজেই যেন ‘রেড জোন’!