গুজরাটের (Gujarat) প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিজেপি নেত্রী মায়া কোডনানি থেকে বজরং দলের বাবু বজরঙ্গি- ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার (Gujarat riots) নারোদা গাম মামলার অভিযুক্ত ৬৮ জনকে মুক্তি দিল আহমেদাবাদের বিশেষ আদালত।
আদালতে বেকসুর খালাস পেয়ে গেলেন মায়া। ২০০২ সালে আমদাবাদের নারোদা গামে ১১ জন মুসলিম ধর্মাবলম্বীকে পুড়িয়ে মারায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে এই মামলাতেই মায়ার সাক্ষী হিসাবে আদালতে হাজির হয়েছিলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০০২ সালে গুজরাতের মন্ত্রী ছিলেন মায়া। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদী। সেই সময় সাবরমতী এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটে।
আদালতের রায়ের পর বেকসুর খালাসপ্রাপ্তদের আইনজীবী বলেন, ‘‘সমস্ত অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দিয়েছে আদালত। আমরা রায়ের প্রতিলিপির জন্য অপেক্ষা করছি।’’ ২০০২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সরকারের মন্ত্রী ছিলেন মায়া কোডনানি। ২০১৭ সালে মামলার শুনানির সময় অমিত শাহ (Amit Shah) প্রধান অভিযুক্ত কোডনানির পক্ষে সাক্ষ্য দেন আদালতে।
মায়া অবশ্য গুজরাত হিংসার ঘটনায় জেলও খেটেছেন। নারোদা পাটিয়া মামলায়, যেখানে ৯৭ জনকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল, তাতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। তাঁকে ২৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। পরে অবশ্য গুজরাত হাই কোর্চ থেকে তিনি মুক্তি পান। এ বার নারোদা গাম মামলাতেও খালাস হয়ে গেলেন। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত বিশেষ দল এই মামলার তদন্ত করেছিল। মামলায় মোট ৮৬ জন অভিযুক্ত হলেও ইতিমধ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অবশিষ্টদের মুক্তি দেওয়া হল এদিনই।
আরও পড়ুন: Haryana: ছেলের হাতে ধর্ষিতা মা, ‘পশুর মতো আচরণে’র দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিল আদালত