জুলাই মাসে চাকরি হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩২ লক্ষ বেতনভোগী। দ্বিতীয় ওয়েভ স্তিমিত হয়ে ধীরে ধীরে অর্থনীতির চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। ছন্দে ফিরছে বিভিন্ন ক্ষেত্র। তা সত্ত্বেও এমন পরিস্থিতি যে অত্যন্ত উদ্বেগজনক।মনটাই বলছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনোমির (সিএমআইই) সর্বশেষ পরিসংখ্যান। জুলাই মাসে ভারতে চাকুরিজীবীর সংখ্যা প্রায় ৭.৬৪ কোটি। জুনে এই সংখ্যাটা ছিল ৭.৯৭ কোটি।
মোট ছাঁটাইয়ের মধ্যে, প্রায় ২৬ লক্ষ হয়েছে শহরাঞ্চলে। এখানে বেতনভোগীদের সংখ্যা জুন মাসে ছিল ৪.৮৭ কোটি। জুলাই মাসে তা ৪.৬১ কোটিতে নেমে এসেছে।এদিকে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং মজুরিপ্রাপ্ত শ্রমিকের সংখ্যা জুলাইতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.০৪ কোটি। জুনের তুলনায় যা প্রায় ২৪ লক্ষ বেশি। জুলাই মাসে বেড়েছে কৃষিজীবীর সংখ্যাও। মোট ২১.৬ লক্ষ কৃষিজীবী বেড়েছে এক মাসে।অর্থনীতিবিদদের মতে, চাকরির বাজারে পরিকাঠামোগত দুর্বলতাই জুলাই মাসে এত বেশি ছাঁটাইয়ের অন্যতম বড় কারণ।
আরও পড়ুন : ঘোষিত CBSE বোর্ডের দশম শ্রেণির ফল, পাশের হার প্রায় ১০০ শতাংশ, জানুন কীভাবে পাবেন মার্কশিট
মুশকিল হল দেশের এই ভয়াবহ আর্থিক অবস্থার কথা বললে বিজেপির বেজায় চোটে যায়। তাদের ভাবখানা হল মোদী জমানায় দেশ সমস্ত দিক দিয়ে শিখরে পৌঁছেছে একথা বলতে হবে। যদিও বাস্তবতা তার সম্পূর্ণ উল্টো। কেবল করোনা এল বলে নয়, নিজের ক্ষমতা জাহির করতে গিয়ে নোটবাতিলের মত যে অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন তাতেই দেশের অর্থনীতির শিরদাঁড়ায় আঘাত লেগেছিল। তখন থেকেই ঝিমোচ্ছে দেশের অর্থনীতি। নবন্দির কারণে ব্যাবসার হাল যখন বেহাল তখনই মোদী বাবু জিএসটি লাগু করেন। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এখন করোনা পরিস্থিতি তাকে আরও জটিল করে তুলেছে। এখন কেবল মানুষের কাজ খোয়ানোর পালা।
আরও পড়ুন : Rahul Gandhi-র ‘Breakfast Meeting’ জোটবদ্ধ তৃণমূলসহ বিরোধীরা