4 members of a Dalit family murdered in Prayagraj of Uttar Pradesh, teen allegedly gang-raped

উত্তমপ্রদেশ! যোগীরাজ্যে খুন দলিত পরিবারের ৪, অভিযোগ গণধর্ষণেরও

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ফের যোগীরাজ্যে হিংসার শিকার দলিতরা। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে একটি দলিত পরিবারের চার সদস্যকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৬ বছরের এক বালিকা এবং ১০ বছরের একটি শিশু রয়েছে। খুনের আগে ওই বালিকাকে গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ।

ভয়ংকর এই ঘটনায় অভিযোগের তির প্রতিবেশী এক পরিবারের দিকে। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, উচ্চবর্ণের ওই পরিবার এর আগেও নিম্নবর্ণের এই পরিবারের সদস্যদের উপরে নির্যাতন চালিয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য বহু দূর ছড়িয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস নেত্রী ও উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রধান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দুপুরে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ওই দলিত পরিবারের ৫০ বছরের কর্তা, তাঁর ৪৫ বছরের স্ত্রী এবং শিশুপুত্রের দেহ ঘরের উঠোন থেকে উদ্ধার হয়। কিশোরী কন্যার দেহ মেলে ঘরের ভিতরে। প্রত্যেকের শরীরেই ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। ইতিমধ্যেই খুন ও গণধর্ষণের মামলা রুজু করে ১১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। কিশোরীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে ঘরে। বাকিদের মৃতদেহ বাড়ির বাইরে উঠোনে পড়ে ছিল বলে জানা গিয়েছে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়।

নিহতদের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, ২০১৯ সাল থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে সমস্যা ছিল। বারবার উচ্চবর্ণের পরিবারটি নির্যাতন চালাত নিম্নবর্ণের পরিবারের উপরে। গত সেপ্টেম্বরে বিষয়টি চরমে পৌঁছয়। ২১ সেপ্টেম্বর তাঁদের মারধর করা হয়। প্রায় সপ্তাহখানেক পরে এফআইআর দায়ের হয়, তাও নির্যাতিতদের পরিবারের বিরুদ্ধেই।

পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ নিহতদের পরিবারের। এবারও খুনের ঘটনা চেপে যাওয়ার আরজি জানানো হয়েছে বলেও দাবি। উঠে এসেছে সুশীল কুমার নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ, তিনি নাকি এসে নিহতদের পরিবার পরিজনকে চাপ দিচ্ছেন বিষয়টায় সমঝোতা করার জন্য।

উল্লেখ্য, যোগীরাজ্যে এর আগেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। হাতরস ধর্ষণ মামলায় খোদ জেলাশাসকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলা হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবারকে মামলা তুলতে চাপ দেওয়ার জন্য। পরে তাঁকে বদলিও করে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ঘিরেও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব নিহতদের আত্মীয়রা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest