গ্রামের কারও সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। শুধুমাত্র এই সন্দেহে ৫৫ বছরের স্ত্রীর যৌনাঙ্গ সেলাই করার অভিযোগ উঠল ৬৪ বছরের প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সিঙ্গরাউলি জেলায়।
অভিযোগ, স্ত্রীকে প্রবল মারধর করেন ৬৪ বছরের প্রৌঢ়। তারপর ঘরে থাকা সুতো ও সূচ নিয়ে এসে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ সেলাই করে দেন। ঘটনার পরই স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান ৫৫ বছরের মহিলা। একজন মহিলা পুলিশকর্মীর সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে সেলাই খোলা হয়। জানা গিয়েছে, মহিলার যৌনাঙ্গ ভালভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তা সেরে যাবে বলেই চিকিৎসক জানিয়েছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ওই মহিলার বয়ান নেওয়ার পরই তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার খবর শুনেই ওই ব্যক্তি পালিয়ে গিয়েছেন। তবে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শাসক দলের সঙ্গে পুলিশের ঘনিষ্ঠতা ‘বিপজ্জনক প্রবণতা’: সুপ্রিম কোর্ট
এ দিকে, ওই মহিলা পুলিশের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার বা কঠোর কোনও শাস্তি যেন না দেওয়া হয়। তারা যেন কেবল সামান্য বকাঝকা দিয়ে তাঁর স্বামীকে বুঝিয়ে দেন যে এই ধরনের অত্যাচার যেন আর না করেন। মহিলার এই দাবি শুনে অবাক তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা।
চলতি বছরেও একই ধরনের ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল উত্তর প্রদেশে। সেখানে এক জনৈক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহে অ্যালুমিনিয়ামের সুতো দিয়ে যৌনাঙ্গ সেলাই করে দিয়েছিলেন। রামপুর জেলার ওই বাসিন্দা গাড়ি চালকের কাজ করায় বেশিরভাগ সময়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন। স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহে তাদের মধ্যে তুমুল বাক-বিতণ্ডাও হয়। স্ত্রীকে সতীত্বের পরীক্ষা দিতে বলেন। স্ত্রী রাজি হতেই তাঁর হাত-পা বেঁধে যৌনাঙ্গ সেলাই করে দেন।
২৪ বছরের ওই মহিলা গোটা ঘটনাটি তাঁর মাকে জানালে তিনি এসে মেয়েকে নিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান এবং পুলিশের কাছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। প্রথমে পালিয়ে গেলেও সেদিন বিকেলেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ।