A 1,500-year-old temple has been recovered from the ground in Uttar Pradesh

উত্তরপ্রদেশে মাটির নীচে থেকে উদ্ধার হল প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো মন্দির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মাটির নীচে থেকে উদ্ধার হল প্রায় ১,৫০০ বছর পুরনো একটি মন্দিরের ভগ্নাবশেষ। ঘটনাস্থল, উত্তরপ্রদেশের এটাওয়া জেলার বিলসার গ্রাম। ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের (এএসআই) উদ্ধার করা এই নিদর্শন গুপ্ত যুগের বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা। উদ্ধার হয়েছে শঙ্খলিপিতে লেখা নিদর্শনও।

বিলসার গ্রামটি প্রাচীন একটি টিলার উপর অবস্থিত। ১৯২৮ সালে বিলসারকে সংরক্ষিত এলাকা বলে ঘোষণা করে এএসআই। তার পর থেকে এখানে একটু একটু করে খননকাজ চালাচ্ছে বিভাগ। এ বছর অগস্টের শেষের দিকে সেই কাজে নেমে আগেই উদ্ধার হওয়া দু’টি স্তম্ভ আরও একটু গভীরে সমীক্ষা করতে আশপাশে আরও খননকাজ চালায় এএসআই। সেই সূত্রে একটি প্রাচীন সিঁড়ি নজরে আসে তাঁদের। তার গায়ে শঙ্খলিপির নিদর্শন দেখতে পায় খননকাজের দায়িত্বে থাকা দলটি। মূলত চার থেকে আট শতকের মধ্যে এই লিপি ব্যবহৃত হতো বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

এই লিপি পাঠোদ্ধারের পরে দেখা যায়, সেখানে ‘শ্রী মহেন্দ্রাদিত্য’ উপাধির উল্লেখ রয়েছে। গুপ্ত বংশের শাসক প্রথম কুমারগুপ্তকে এই উপাধি দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ শতকে উত্তর এবং মধ্য ভারত জুড়ে রাজত্ব করেছেন তিনি। এই সিঁড়ির সূত্র ধরেই গুপ্ত যুগের মন্দিরের কাঠামো উদ্ধার করেছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ, যা তৈরি করা হয়েছিল ব্রাহ্মণ, জৈন এবং বৌদ্ধদের জন্য। এখনও পর্যন্ত এই ধরনের গঠনের দু’টি মাত্র প্রাচীন মন্দিরের সন্ধান পেয়েছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ।

আরও পড়ুন: মোদী জন্মদিনে টিকা দেওয়ার রেকর্ড গড়তে মজুত! অভিযোগ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে

যে কারণে এই খননকার্য অত্যন্ত গুরুত্বের এবং তাত্‍পর্যপূর্ণ বলে মত বিশেষজ্ঞদের। মন্দিরটির মোট চারটে স্তম্ভ রয়েছে। যার মধ্যে দু’টি গোলাকার এবং দুই কোণে অবস্থিত। এই দু’টির গায়েই ‘গুপ্ত ব্রাহ্মী’ লিপিতে লেখা রয়েছে। যা নিয়ে এর আগে বেশ কিছু পর্যালোচনা এবং অনুসন্ধান হয়েছে এবং তা প্রকাশিতও হয়েছে বলে জানান এএসআই-এর আগরা সার্কলের সুপার বসন্ত সওয়ারকার। ফলে এখন তাঁদের নজর ছিল বাকি দু’টি স্তম্ভের দিকে, যেগুলির অনেকটাই এত দিন মাটির নীচে চাপা ছিল।

এই স্তম্ভগুলি আবার সমতল এবং মসৃণ। আকারে সমকোণ চতুর্ভুজ। সমান্তরাল ভাবে রাখা এবং একই দিকে মুখ করা। দু’টির সামনের দিকেই রাক্ষস, গণ এবং বিভিন্ন জ্যামিতিক চিহ্ন রয়েছে।  সংরক্ষণের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করার পর একটি ছাউনি লাগিয়ে ১৫০০ বছর প্রাচীন এই নিদর্শন পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে পুরাতত্ত্ব বিভাগ সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: প্রেমে প্রত্যাখ্যানের নির্লজ্জ প্রতিক্রিয়া, তরুণীর বাড়িতে ‘সেক্স টয়’ পাঠিয়ে গ্রেফতার প্রতিবেশী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest