Site icon The News Nest

‘ছাত্র জীবনে এবিভিপি, বিজেপি মোর্চার প্রেসিডেন্ট ’, মানবাধিকার কমিশন কর্তা আতিফ রশিদের ‘গেরুয়া যোগ’ নিয়ে টুইট মনু সিংভির

atif

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে জোর তরজায় তৃণমূল-বিজেপি। এই ইস্যুতে এবার তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে টুইট বোমা কংগ্রেস সাংসদ ও আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির। মানবাধিকার কমিশনের যে কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তার সদস্য আতিফ রশিদ। সেই আতিফের সঙ্গে বিজেপি যোগ কতটা প্রবল, নিজের টুইটে সে কথাই তুলে ধরেন এই দুঁদে আইনজীবী।

আরও পড়ুন : আচমকাই দিল্লিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কারণ কী ? বাড়ছে জল্পনা

মনু সিংভির টুইটে উল্লেখ রয়েছে, বিজেপির ১০টির বেশি পদে থেকেছেন আতিফ রশিদ। এই টুইটে উঠে এসেছে আতিফের ছাত্রজীবনও। সেদিনের এবিভিপি, যুব মোর্চার নেতা এখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বলেই উল্লেখ রয়েছে কংগ্রেস সাংসদের টুইটে। এমনকী ২০১২ সালে দিল্লির পুরভোটে পদ্মপ্রার্থীও ছিলেন এই আতিফ রশিদ। স্বভাবতই এই বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। যাঁর অতীত এতটা গেরুয়াময়, মানবাধিকার কর্তা হিসাবে তিনি কতটা নিরপেক্ষ হবেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান আতিফ রশিদ। সম্প্রতি রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কমিশন যে কমিটি তৈরি করেছে তাতে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে তাঁর। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে মানবাধিকার কমিশন ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র যে তালিকা জমা দিয়েছে, যেখানে একাধিক তৃণমূল নেতা মন্ত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সেই তালিকা তৈরির কমিটিতে দ্বিতীয় নামই আতিফ রশিদের।

ভোট পরবর্তী হিংসার প্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। রিপোর্টে একাধিক প্রথম সারির তৃণমূল নেতাকে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’ বলে উল্লেখ করা হয়। তালিকায় নাম রয়েছে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান, উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক-সহ একাধিক নেতার।

এরই মধ্যে আতিফ রশিদের ‘পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড’ উঠে এসেছে মনু সিংভির টুইটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, ‘আতিফ রশিদ আসলে কে’। এর আগে অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস একাধিকবার দাবি করেছে, মানবাধিকার কমিশনের পেশ করা রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট। যদিও সামাজিক মাধ্যমে নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন আতিফও। তাঁর দাবি, যেদিন থেকে তিনি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন হয়েছেন, সেদিন থেকে তাঁর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই।

আরও পড়ুন : World Emoji Day: সর্বনাশ! এই ইমোজিগুলোর অর্থ সাংঘাতিক যৌনধর্মী! আপনি জানতেন?

 

 

Exit mobile version