ত্রিপুরায় (Tripura) এবার হামলার মুখে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার (Manik Sarkar)। সোমবার তিনি নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ধনপুরে যাওয়ার পথে তাঁর কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। কনভয়ের দু, একটি গাড়িতে হামলার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় নিজের গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মানিক সরকার। তাঁকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গিয়ে পালটা দুষ্কৃতীদের প্রতিরোধ করতে পথে নামে সিপিএম কর্মী, সমর্থকরা। রাস্তার উপর দু’পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির (BJP) দিকে। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতার দাবি, এটা জনরোষ, এতে বিজেপির কেউ জড়িত নয়।
মানিক সরকার নিজে গাড়ি থেকে নেমে পরিস্থিতির খোঁজ নেন। সত্তরোর্ধ্ব দলের বিধায়ককে বড় বিপদ থেকে বাঁচানোর জন্য তাঁকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। তারপর দুষ্কৃতীদের রুখতে পালটা ঝাঁপিয়ে পড়েন সিপিএম কর্মীরা। ইট-পাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ি করে একপক্ষ অপরপক্ষের উপর হামলা চালায়। রাস্তার উপরে এই সংঘর্ষের জেরে থমকে যায় গাড়িঘোড়া।
বাংলা দখল করে এবার ত্রিপুরাতে নজর দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় নতুনভাবে সংগঠন গড়ে তোলায় মন দিয়েছে এ রাজ্যের শাসক দল। তাতে সাফল্যও মিলছে বিস্তর। এই পরিস্থিতিতে নিত্যদিন তাঁদের উপর বিজেপি হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন তৃণমূল নেতারা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলা থেকে যার সূত্রপাত, একের পর এক রক্তাক্ত হামলাতেও তার শেষ হয়নি এখনও। এই পরিস্থিতিতে এবার ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বর্তমানে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির শাসক দল বিজেপির দিকে।
আরও পড়ুন: বচসার জেরে কুকুরের বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী
BJP ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারীদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Tripura CM Biplab Deb)। রবিবার একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হবে।’ তৃণমূলের নাম না করে পোস্টে তিনি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটি দল আমাদের রাজ্যে এসেছে। এই দলের নেতৃত্বরা পশ্চিমবঙ্গে অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। এখানে যাদের দলে টানছে, তাঁরাও অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। আমার কাছে যা তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি তাঁদের গ্রেফতার করাব।’
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে কি প্রার্থী দেবে কংগ্রেস? সোনিয়ার কোর্টেই বল ঠেলল প্রদেশ