সেনা পাঠালে ফল ভাল হবে না বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন। এ বার সরাসরি ভারতকে অবস্থান পাল্টানোর পরামর্শ দিলেন তালিবান মুখপাত্র শাহীন সুহেল। পূর্বতন আশরফ গনি সরকারের সঙ্গে যে সখ্য ছিল, তালিবানের সঙ্গেও তেমন সুসম্পর্ক বজায় রাখলে ভারত এবং আফগানিস্তান, দুই দেশের পক্ষেই তা মঙ্গলজনক বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।
সোমবার সিএনএন-নিউজ-১৮ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুহেল বলেন, ‘‘আশা করি ভারতও অবস্থান পাল্টাবে। এত দিন জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যে সরকার চলছিল আফগানিস্তানে, তাদের সমর্থন জানিয়েছিল ভারত। আগামী দিন সেই সমীকরণ বজায় থাকলে ভারত এবং আফগানিস্তান, দু’দেশের পক্ষেই তা মঙ্গলজনক।’’
আরও পড়ুন : সনিয়াকে চিঠি লিখে কংগ্রেস ছাড়লেন সুস্মিতা দেব, তৃণমূল যোগের জল্পনা
পূর্বতন সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর এখনও ২৪ ঘণ্টা কাটেনি, তার মধ্যেই আফগানিস্তানকে ফের ২০ বছর আগেকার ‘ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান’-এ ফিরিয়ে আনতে চাইছে তালিবান। তাতে তালিবানের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাদের হাতে আফগানিস্তান কতটা সুরক্ষিত থাকবে, পড়শি দেশগুলিতে তার কতটা প্রভাব পড়বে, তা নিয়েও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই তালিবানের সঙ্গে আগের তালিবানের কোনও মিল নেই বলে দাবি করেছেন সুহেল। তাঁর যুক্তি, ‘‘আগে সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল না আমাদের। কিন্তু গত ২০-২৫ বছর ধরে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি আমরা। জেনেছি কী ভাবে সরকার চালাতে হয়, কী ভাবে অন্য দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়। আফগানিস্তানের পুনর্নির্মাণ চাই আমরা। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। অন্যদের সহযোগিতা ছাড়া তা অসম্ভব।’’
বর্তমান পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে ভারতকে। তালিবান বলে কেবল চিৎকার করলে আখেরে লাভ হবে না নয়া দিল্লির। বরং সে সুবিধা নিয়ে নেবে অন্যেরা। ভারত ইতিমধ্যে সেখানে বহু অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এই মুহূর্তে ভারত যদি তালিবানের বিরোধিতা করে তাতে ভারতের বিপুল বিনিয়োগ জলে যাবার সম্ভাবনা তৈরী হবে। যা নয়া দিল্লির জন্য মোটেও সুখকর হবে না।
আরও পড়ুন : Covid ধাক্কা সামলে Darjeeling এ ফের ছুটল টয়ট্রেন, Queen Of Hills-এ শুরু জয়রাইড