Agartala tension while TMC leader Sayani Ghosh brought to police station

ফের অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরা, থানা ঘিরে বিজেপি-র ইটবৃষ্টির অভিযোগ তৃণমূলের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগরতলা সফরের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূল নেতাদের আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে হামলার অভিযোগ বিজেপি-র বিরুদ্ধে। আহত হয়েছেন একাধিক তৃণমূল কর্মী ও নেতা।

তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, শনিবার রাতে প্রচার সেরে হোটেলে ফেরার পথে আগরতলার পথে যানজটে আটকে যায় তাঁদের গাড়ি। গাড়িতে চালকের পাশে বসেছিলেন সায়নী ঘোষ। পিছনের আসনে ছিলেন অর্পিতা ঘোষ ও সুদীপ রাহা। আশেপাশের লোকজন সায়নীকে চিনতে পেরে হাত নাড়েন। তৃণমূল নেতাদের দাবি, জনতা সায়নীকে দেখে ‘খেলা হবে’ বলে স্লোগান তোলেন। পাল্টা তৃণমূল নেতারাও ‘খেলা হবে’ বলেন। তার পর যানজট খুলে গেলে হোটেলে ফেরেন সায়নীরা।

তৃণমূলের অভিযোগ, শনিবার মধ্যরাত থেকেই তাঁদের হোটেল ঘিরে ফেলে পুলিশ। রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ পুলিশ হোটেলে ঢুকে সায়নী ঘোষের খোঁজ করে। সায়নীকে জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয় বলে তৃণমূলের দাবি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি পুলিশ আধিকারিককে প্রশ্ন করেন, সায়নীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কোনও নোটিস আছে কি? তৃণমূলের দাবি, পুলিশ কোনও নোটিস দেখাতে পারেনি। কিন্তু পুলিশ জানায়, সায়নীর বিরুদ্ধে ‘হিট অ্যান্ড রান’-এর অভিযোগ আছে। এর পর সুস্মিতা দেব, কুণাল ঘোষ, অর্পিতা ঘোষ সায়নীকে নিয়ে আগরতলা মহিলা থানায় যান।

সায়নী ঘোষ থানায় ঢোকার পর নতুন করে উত্তেজনার খবর। বিজেপি-র বিরুদ্ধে থানায় ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, থানার বাইরে লাঠি হাতে, হেলমেট পরে জমায়েত করে বিজেপি। সায়নী থানায় ঢুকতেই আক্রমণ করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের দাবি, পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এ ভাবে তৃণমূলের পথরোধ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। নেতা কর্মীদের উপর ইটবৃষ্টি চলছে, পুলিশ নীরব দর্শক। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। থানায় ডেকে এনে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল।’’

সূত্রের খবর, গোলমাল এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আশেপাশের থানা থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী এসেছে। মোতায়েন করা হয়েছে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদেরও।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest