নয়াদিল্লি: ভারত মহাসাগরে চিনের খবরদারি রুখতে অস্ত্রভাণ্ডারে নতুন করে শান দিচ্ছে ভারত। নির্ভুল নিশানা, ক্ষিপ্র গতি এবং এক ধাক্কায় শত্রুর ডুবোজাহাজকে তছনছ করে দিতে অত্যাধুনিক মাল্টিরোল-রোমিও কপ্টার এবার দেখা যাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ৯০ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গিয়েছে ভারতের।
মোট ২৪টি হেলিকপ্টার কেনা হচ্ছে। আগামী বছরের শুরুতেই এর মধ্যে বেশ কয়েকটি হাতে পাবে ভারতীয় নৌবাহিনী।সমুদ্রের যত গভীরেই শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ ঘাপটি মেরে থাকুক না, কেন, সেগুলিকে খুঁজে বার করে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম এই এমএইচ-৬০ আর হেলিকপ্টারগুলি। এই মুহূর্তে ১৯৭১ সালে ব্রিটেন থেকে কেনা ‘সি কিং’ হেলিকপ্টারগুলিই ব্যবহার করছে ভারতীয় নৌবাহিনী। কিন্তু তার মধ্যে বেশিরভাগই অচল হয়ে গিয়েছে। তাই নয়া হেলিকপ্টারগুলি হাতে পেলে ভারত মহাসাগরে চিন ও পাকিস্তানের মোকাবিলা করা সহজ হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
২০১৯ সালেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের এই হেলিকপ্টার চুক্তির কথা ঘোষণা হয়। সেইসময় মার্কিন বিদেশমন্ত্রক জানায়, ২৬০ কোটি ডলারের বিনিময়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে। সেইসময় হেলিকপ্টারের সঙ্গে সেন্সর, কমিউনিকেশন প্রযুক্তি, হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র-সহ একাধিক অস্ত্রশস্ত্র প্রযুক্তি, এমকে-৫৪ টর্পেডো এবং রকেট প্রযুক্তিও বিক্রি করা হবে বলে জানানো হয়।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য ২০০৭ সাল থেকেই মার্কিন সমরাস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার উৎসাহ বেড়েছে ভারতের। আর যেভাবে ভারত মহাসাগরে চিনের আধিপত্য উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে, সেখানে জলসীমায় নজরদারি, ডুবোজাহাজের উপস্থিতি, তল্লাশি ও উদ্ধার কাজে অত্যন্ত দক্ষ কপ্টারের প্রয়োজন। ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে এখন আছে সি-কিং হেলিকপ্টার। ব্রিটেনের থেকে যা কেনা হয়েছিল ১৯৭১ সালে। তার পরে তার আর আধুনিকীকরণ হয়নি। নজরদারি ও যুদ্ধ করার জন্য সি-হ্যারিয়ার বিমান আগেই অবসর নিয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে শুধু পিএইট-আই বিমান। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই এমএইচ-৬০আর হেলিকপ্টার নৌবাহিনীর শক্তিকে আরও দ্বিগুণ করে তুলবে।