Site icon The News Nest

শিশুর সঙ্গে ওরাল সেক্স কোনও জঘন্য অপরাধ নয়, বিতর্কিত রায় এলাহাবাদ হাই কোর্টের

Allahabad High Court 2 scaled

নাবালকদের মুখমেহনে বাধ্য করা জঘন্য অপরাধ নয়। একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই বিতর্কিত রায় দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। সেই কারণেই সাজাপ্রাপ্ত আসামীর কারাবাসের মেয়াদ দশ বছর থেকে কমিয়ে সাত বছর করে দেওয়া হল।

ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালে। ঝাঁসির চিড়গাঁওয়ের এক ব্যক্তি দেব সিং, সোনু কুশওয়াহার বিরুদ্ধে ওরাল সেক্সের অপরাধে এফআইআর দায়ের করেন। ওই বছর ২২ মার্চ দেব সিংয়ের ১০ বছরের ছেলের সঙ্গে ২০ টাকার বিনিময়ে ওরাল সেক্স করে সোনু কুশওয়াহার। দেব সিংয়ের ভাগ্নে সন্তোষ যখন জানতে চায়, তার কাছে ২০ টাকা এল কি করে ? তার উত্তরে সে পুরো বিষয়টি সন্তোষকে জানায়। এরপরই ২৬ মার্চ অভিযুক্ত সোনু কুশওয়াহার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন ছেলের বাবা দেব সিং।

অভিযোগকারীর এফআইআরের ভিত্তিতে কুশওয়াহার বিরুদ্ধে ৩৭৭ ও ৫০৬ আইপিসি এবং পকসো আইনের ৩/৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার ভিত্তিতে নিম্ন আদালতে সোনু কুশওয়াহারের ১০ বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়। এরপর এলাহাবাদ হাই কোর্টে আপিল করে কুশওয়াহার। বিচারপতি অনিল কুমার ওঝার একক বেঞ্চে যায় মামলা। সেখানে বলা হয়, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা এবং ৫০৬ ধারায় দোষী নয় কুশওয়াহার। তাকে শুধুমাত্র পকসো মামলায় দোষীসাব্যস্ত করা হয়। যে কারণে এলাহাবাদের উচ্চ আদালতে তাঁর সাজার পরিমাণ ১০ বছর থেকে কমিয়ে ৭ বছর করে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে।

এর যুক্তি হিসেবে বলা হয়, পকসো আইনের যে ধারার ভিত্তিতে সোনুকে ১০ বছরের কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে জঘন্য অপরাধের ভিত্তিতে এই সাজার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু মুখমেহনে বাধ্য করা জঘন্য অপরাধ নয়। পেনিট্রেশন হলে তবেই তা জঘন্য অপরাধের তালিকায় পড়ত। সেই কারণেই সোনুর সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এলাহাবাদ হাই কোর্টের এই রায়ের সঙ্গে অনেকে সহমত নন।  তাঁদের মতে যে কোনও প্রকার যৌন নিগ্রহই জঘন্য অপরাধ।  এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায় দেওয়ার পর বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

Exit mobile version