গান্ধী পরিবার নিয়ে মুখ খোলার জন্য কংগ্রেস সমর্থকদের রোষের মুখে পড়তে হল কপিল সিব্বলকে। ‘দল ছাড়ুন’, ‘সুস্থ হয়ে উঠুন’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা। ভাঙচুর করা হয় সিব্বলের গাড়িও। সম্প্রতি পঞ্জাবে টালমাটাল পরিস্থিতি ও গোয়া ভাঙন নিয়ে মুখ খুলে ছিলেন সিব্বল। তার জেরেই বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার সম্মুখীন হলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।
কংগ্রেস কর্মীদের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন আরেক কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। টুইটারে লেখেন, “কপিল সিব্বলের বাড়িতে হামলার খবর শুনে আমি স্তম্ভিত। বিরক্তও। এই ঘটনা দলের সম্মান নষ্ট করছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করা উচিত। এ বিষয়ে কংগ্রেসের অন্তর্বতীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন আনন্দ শর্মা। লেখেন, “কংগ্রেস গণতান্ত্রিক দল। সেখান ভিন্ন মতপোষণের জায়গা রয়েছে। যে কেউ নিজের মত প্রকাশ করতেই পারে। কিন্ত তার প্রেক্ষিতে এ ধরনের ঘটনা কংগ্রেসের সংস্কৃতিবিরোধী। যারা এর জন্য দায়ী তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া দরকার।”
আরও পড়ুন: Ayushman Bharat: প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ডিজিটাল হেলথ কার্ড; ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর, জানুন বিশদ
প্রসঙ্গত, পঞ্জাবের (Punjab) রাজনীতিতে একের পর এক নাটকীয় মোড়। আর এই রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্কলহকে দায়ী করে তোপ দাগেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। বলেন, “জি-২৩ গোষ্ঠী জি হুজুর গোষ্ঠী নয়।” সিব্বলের কথায়, ”কংগ্রেসে এই মুহূর্তে কোনও নির্বাচিত সভাপতি নেই। আমরা জানিই না সিদ্ধান্তগুলি কে নিচ্ছে। কেন সবাই দল ছাড়ছে? আমাদের কি দেখা উচিত নয়, সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে? যাঁদের নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হত দল ছেড়ে দিয়েছেন। আর যাঁরা নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ নন, তাঁরা কিন্তু এখনও দলে রয়ে গিয়েছেন।”
এখানেই থেমে থাকেননি এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। স্পষ্ট বলেন, “ঘনিষ্ঠদের থেকে কোনরকম উপদেশ নিতে বহুবারই অনীহা দেখিয়েছে গান্ধী পরিবার। যার মাশুল গুনতে হচ্ছে দলকে।”
পঞ্জাব ছাড়াও সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সুস্মিতা দেব। বুধবার কলকাতায় তৃণমূলে যোগ দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা লুই ফ্যালিরো। এই দুই নেতার দল ছেড়ে চলে যাওয়া সনিয়া-রাহুলদের কাছে বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করেন তিনি। এছাড়াও রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলাট ও শচীন পাইলটের মধ্যে দ্বন্দ্বে ধরাশায়ী কংগ্রেস। এমন পরিস্থিতি কেন হল? সেই প্রশ্নকে হাতিয়ার করেই সরব হয়েছিলেন সিব্বল।
উল্লেখ্য, গত বছরই সনিয়া গান্ধীকে কংগ্রেসের যে ২৩ জন নেতা দ্রুত সভাপতি নির্বাচনের আরজি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন, সেই দলেরই অন্যতম কপিল।
আরও পড়ুন: ফের চালু হোক বিমান চলাচল, ভারতকে চিঠি তালিবানের