অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) প্রবল বর্ষণে ১৭ জনের মৃত্যু হল। বন্যার জলে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ শতাধিক মানুষ। দুর্যোগ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে রায়লসীমা (Rayalaseema) অঞ্চলে। শুধু কাড়াপা জেলাতেই মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্ট নিম্নচাপের জেরে শুক্রবার থেকে রাজ্যের রায়লসীমা অঞ্চলের তিন জেলা এবং একটি উপকূলীয় জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকেই কাড়াপা এবং অনন্তপুর জেলায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। যার জেরে হড়পা বানের সৃষ্টি হয়। তাতেই নিখোঁজ হয়েছেন শতাধিক মানুষ। চেয়ুরু নদীর জল বেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে কাড়াপা এবং অনন্তপুর জেলায়। তিরুমালা মন্দির জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বহু পুণ্যার্থী সেখানে আটকে পড়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
Dear @APWeatherman96 This is the situation at Leelamahal to Mangalam Road near D-Mart… Tirupati people please stay indoors #Tirupathi #floods pic.twitter.com/SnBWkhmKBs
— Hanumanth M. H (@bsh024) November 18, 2021
আলিপিরি থেকে তিরুমালা যাওয়ার পথে ধস নামায় রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা কাড়াপা জেলায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, কাড়াপা জেলায় হড়পা বানে যাত্রিবোঝাই একটি সরকারি বাস ভেসে গিয়েছে। বেশির ভাগ যাত্রীকে উদ্ধার করা গেলেও ১২ জন ভেসে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে রাজমপেটের মণ্ডপল্লি, আকেপাড়ু এবং নন্দলুরুতে ৩০ জন ভেসে গিয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। পরিস্থিতি রীতিমতো জটিল হওয়ায় রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকালের পাশাপাশি বায়ুসেনার বিমান নামানো হয়েছে উদ্ধার কাজে।
জানা গিয়েছে রাজ্যের রায়লসীমা অঞ্চলের একাধিক জেলার সড়ক পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় রেল লাইনের উপর দিয়ে বইছে জল। ফলে রেল যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে। বিমান পরিষেবাতেও প্রভাব পড়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত কাড়াপা বিমানবন্দর বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। শনিবার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।