গালওয়ান (Galwan) উপত্যকায় সংঘর্ষের জের না কাটতেই ফের মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। এবার সংঘাতের কেন্দ্র অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টর। সেখানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে প্রায় ২০০জন চিনা সৈনিকের একটি দলকে আটকে দেন ভারতীয় জওয়ানরা।
জানা গিয়েছে, অরুণাচলপ্রদেশে প্রায় চিনা সেনার ২০০ জওয়ান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় ভূখণ্ডের খুব কাছে এসে পড়ে। চিনা সেনাকে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের মাটিতে ঢুকতে বাধা দেয় ভারতীয় সেনা। জানা গিয়েছে, দুই দেশের সেনাবাহিনী মুখোমুখি হলেও সংঘর্ষ হয়নি। বরং আলোচনার মাধ্যমে মেটানো হয় বিবাদ।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এই বিষয়ে জানান প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের একটি সূত্র। উল্লেখ্য, অরুণাচলের সীমান্ত নিয়ে চিন এবং ভারতের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ফেস-অফ বেশ কয়েক ঘণ্টা চলে।
সম্প্রতি লাদাখে (Ladakh) ফের উসকনি দিচ্ছে চিন। ফের সংঘাতের ইঙ্গিত দিয়ে কয়েকদিন আগেই বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছিল যে, লাদাখ সীমান্তে অশান্তি তৈরি করছে চিন। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি স্পষ্ট ভাষায় বার্তা দিয়েছেন যে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিশাল ফৌজ মোতায়েন করেছে চিন। ফলে প্রতিরক্ষার স্বার্থে পালটা সৈন্য মজুত রাখতে হয়েছে ভারতকে। তবে সীমান্তে শান্তি ফেরাতে অরিন্দম বাগচি আরও বলেন যে, নয়াদিল্লি আশা করছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সমস্যাগুলি প্রটোকল মেনে ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে হাঁটবে বেজিং।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় মুখোমুখি হয় ভারত ও চিনের ফৌজ। দু’পক্ষের জওয়ানরাই লোহার রড ও কাঁটাতার জড়ানো হাতিয়ার নিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা লড়াই করে। রক্তক্ষয়ী সেই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। ১৯৭৫ সালে পর এই প্রথম প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পরেই সীমান্তে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবশেষে পরিস্থিতি শান্ত করতে কয়েক দফা আলোচনায় বয়ে দুই দেশের সেনাবাহিনী। তবে তাতে আঁচ কিছুটা কমলেও উত্তেজনা পুরোপুরি কমেনি।