Bank Accounts Of Mother Teresa’s Missionaries of Charity Frozen Across India: Reports

ধর্মান্তরণের অভিযোগ, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল কেন্দ্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গুজরাতে জোর করে ধর্মান্তরণের অভিযোগ ওঠার পর এবার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল কেন্দ্রীয় সরকার। নয়া দিল্লি থেকে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে ওই সংস্থার বিভিন্ন কেন্দ্রে আবাসিক প্রায় ২২ হাজার মানুষের অন্নসংস্থান সংকটের মুখে বলে মনে করা হচ্ছে। এব্যাপারে এখনো কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি কলকাতায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সদর দফতর মাদার হাউজ।

কোন তদন্তের প্রয়োজনে এমন সিদ্ধান্ত তা জানা না গেলেও সম্প্রতি গুজরাতে একটি বিতর্কে জড়ায় টেরিজার সংস্থা। ধর্মান্তরণের অভিযোগে মোদীর রাজ্যে মিশনারিজ অব চ্যারিটির বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের হয়। গুজরাতের বডোদরা শহরে ওই সংগঠনের যে হোম রয়েছে, তার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরণ ছাড়াও হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করা হয় এমন কাজও ওই হোমে হয়ে থাকে বলে অভিযোগ ওঠে। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয় সংগঠনের তরফে। তাদের দাবি, ওই হোমে কোনও ভাবেই জোর করে কারও ধর্মান্তরণ করা হয়নি।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে জয় শ্রীরাম বলে চার্চে ব্যাপক ভাঙচুর, ‘গোলি মারো’ স্লোগান, আগ্রাতে পুড়ল সান্তার কুশপুতুলে

পঞ্জাবের এক তরুণীকে জোর করে এক খ্রিস্টান যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে বডোদরার ওই হোমের বিরুদ্ধে। স্থানীয় পুলিশ কমিশনার সমশের সিং জানিয়েছেন, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আলাদা করে তদন্ত চলছে। আর জেলা সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক আধিকারিক মায়াঙ্ক ত্রিবেদীর অভিযোগ, ওই হোমে হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে এবং হোমের অল্পবয়সি মেয়েদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করা হয়ে থাকে। গুজরাতের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন, ২০০৩-এর আওতায় মকরপুরা থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছেন মায়াঙ্ক।

দায়ের অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির শাখায় হিন্দু তরুণীদের জোর করে বাইবেল পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। বাধ্য করছেন সেখানকার সন্ন্যাসিনীরা। তাদের খ্রিস্ট মতে খ্রিস্টান পরিবারে বিয়ে করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকী নিরামিষভোজী ওই তরুণীদের আমিষ খেতে বাধ্য করছেন সন্ন্যাসিনীরা। যদিও সংস্থার তরফে অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়েছে, কাউকে কিছু করতে বাধ্য করা হয়নি। সন্ন্যাসিনীদের অনুসরণ করে নিজে থেকেই খ্রিস্ট রীতি মানছেন তরুণীরা।

সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালে কলকাতায় মাদার টেরিজা মিশনারিজ অব চ্যারিটি স্থাপন করেন। কলকাতার পাশাপাশি ভারতে এবং দেশের বাইরেও বহু জায়গায় সক্রিয় চ্যারিটি। ভারতে ২৪৩টি হোম রয়েছে সংস্থার।

আরও পড়ুন: CoWIN Registration : ১ জানুয়ারি থেকেই নাম নথিভুক্ত ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের, জানুন পদ্ধতি

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest