BBC News: Income Tax officials continue search for second day, BBC asks staff to cooperate

BBC News: ২৪ ঘণ্টা পার, বিবিসিতে এখনও চলছে আয়কর দফতরের ‘সমীক্ষা’, কর্মীদের ইমেলে কী বলল ব্রিটিশ সংস্থা?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দিল্লি ও মুম্বইয়ের বিবিসির দফতরে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে আয়কর দফতরের ‘সমীক্ষা’। সংবাদসংস্থাটির আর্থিক বিষয়ক ইলেকট্রনিক এবং কাগুজে নথির প্রতিলিপি করা হচ্ছে বলে খবর। করফাঁকি মামলা নিয়ে তদন্তে নেমে বিবিসির অফিসে ‘সমীক্ষা’ চালাচ্ছে আয়কর দফতর।

আয়কর কর কর্তৃপক্ষ বিবিসির ‘অননুমোদিত কর সুবিধা, কর ফাঁকি, বিমুখতা এবং অসহযোগিতার’ অভিযোগের তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। জানা গিয়েছে, বিবিসিকে অতীতেও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা সেই নোটিশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করেনি। সূত্রের দাবি, ২০১২ সাল থেকে বিবিসির পুরো হিসেব নিকেশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই আয়কর সার্ভে চলাকালীন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা। বিবিসির দিল্লির দফতরে হাজির হন অন্তত ১৫ জন আয়কর অধিকর্তা। শুরু হয় ‘সমীক্ষা’র কাজ। রাত পেরিয়ে পর দিন সকালেও সেই ‘সমীক্ষা’ শেষ হয়নি। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, আয়কর দফতরের আধিকারিকরা বিবিসির আর্থিক বিষয়ক বিভাগের পদাধিকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা হয় অন্যান্য কয়েকটি বিভাগের সংবাদকর্মী এবং সাংবাদিকদের সঙ্গেও। তবে মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দিয়েছিল আয়কর দফতর। তবে তার আগে অফিসের কয়েকটি কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনকে ক্লোন করে নেন আয়কর কর্তারা।

এই আবহে এবার কর্মচারীদের ইমেল করে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছে বিবিসি কর্তৃপক্ষ। এদিকে সম্প্রচার বিভাগ ছাড়া বাকি সব কর্মীকেই বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেছে বিবিসি। এক ইমেলে কর্মীদের বিবিসির তরফে বলা হয়েছে, তদন্তকারী কর্তাদের সকল প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করুন। বিস্তারিত ভাবে তাদের প্রশ্নের জবাব দিন। আপনার ব্যক্তিগত আয় নিয়ে আপনাকে মুখ খুলতে হবে না। তবে বেতন সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন করা হলে তার জবাব দিন।

আরও পড়ুন: RTI করেছিলেন কেজরি, নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানাল না গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়

বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের ‘সমীক্ষা’ নিয়ে ইতিমধ্যেই সারা দেশে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদীকে নিয়ে সমালোচনামূলক তথ্যচিত্র তৈরি করারই মাসুল দিতে হচ্ছে ইংল্যান্ডের জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে। যদিও বিজেপির দাবি, বিবিসি বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিক সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযান চলেছে। অভিযান চলাকালীন বিপুল অঙ্কের আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ ভেসে উঠেছে সূত্রের মাধ্যমেই। বিরোধীদের দাবি, আজ পর্যন্ত একটি অভিযোগও প্রমাণিত হয়নি। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে যে সব সংবাদমাধ্যমের দফতরে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযান হয়েছে, তারা সকলেই কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনামূলক সংবাদ পরিবেশন করেছিল। তাহলে কি সমালোচনার মুখ বন্ধ করতেই এই তৎপরতা?

আরও পড়ুন: Delhi Murder: প্রেমিকার দেহ ফ্রিজে রেখে ঐদিনেই অন্যকে বিয়ে! স্বীকারোক্তি দিল্লির ধাবা মালিকের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest