Site icon The News Nest

Bharat Bandh: কৃষকদের ডাকে আগামীকাল ভারত বনধ, ইস্যুকে সমর্থন করি, বনধকে নয় : মমতা

farmers protest

ভারত বনধের আগে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিল্লিতে। আগামীকাল দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইনের বিরোধিতায় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। বৃহস্পতিবারই ৪০ কৃষক সংগঠন জানিয়েছে, এই বনধে সামিল হচ্ছে তারা।

৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত বছর নভেম্বর মাস থেকে রাজধানীর বুকে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। ২৭ সেপ্টেম্বর ১০ মাস পূর্ণ হবে কৃষক আন্দোলনের। তারই অংশ হিসেবে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক। ৩ ধর্না মঞ্চ থেকে কোনও আন্দোলনকারীকে দিল্লিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। রাজনৈতিক দলগুলিকে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। বিবৃতি জারি করে তারা জানিয়েছে, “কর্মী, ব্যবসায়ী, ছাত্র, যুব, মহিলা সহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে আমাদের আবেদন এই ধর্মঘট সফল করতে আপনারা পাশে থাকুন।’’

কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের আন্দোলনের পর ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ছয়টা থেকে সন্ধে ছয়টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করবে কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষকদের এই ভারত বনধে দেশজুড়ে রাস্তা, রেল, বাজার ও অন্যান্য জনবহুল স্থানে প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু, বাংলায় কতটা প্রভাব পড়বে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ কারণ, রবিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধর্মঘটকে সমর্থন করছেন না বলে জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘ আমরা বন্ধের ইস্যুকে সমর্থন করি, বন্ধকে সমর্থন করি না৷’

সোমবার সকাল থেকে ৬টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সংগঠন জানিয়েছে, এই সময়ে বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকান, শিল্পক্ষেত্রে সহ সরকারিক্ষেত্র বন্ধ থাকবে। হাসপাতাল, মেডিকেল স্টোর, ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ সহ জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশের কৃষকরা গত বছরের নভেম্বর থেকে দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভ করছেন। তাঁদের মূল দাবি কৃষকদের আশঙ্কা, তিন কৃষি আইনের ফলে ন্যূনতম সহায়কমূল্য আর থাকবে না। কৃষি ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করবে বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দশ দফায় বৈঠক হয়েছে কৃষক সংগঠনের। কখনও কৃষক আন্দোলনে জেরে উত্তাল হয়েছে রাজধানী। কিন্তু মেলেনি সুরাহা। তাই ফের আন্দোলনের পথে কৃষকরা।

Exit mobile version