Bilkis Bano Case: Supreme Court directs All 11 gangrape, murder convicts to surrender in 2 weeks

Bilkis Bano Case: জালিয়াতি করে মুক্তি! আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে বিলকিস ধর্ষকদের জেলে ফেরার সুপ্রিম নির্দেশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিলকিস বানো মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা! মেয়াদ শেষের আগে ধর্ষকদের মুক্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাট সরকার, তা খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ, মুক্তি পাওয়া ওই ১১ জন ধর্ষককে আবার ফেরত যেতে হবে জেলে। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হল, এই মামলার শুনানি চলবে।

২০০২ সালে গোধরা হিংসার সময়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ার পর ২১ বছরের বিলকিস বানো গণধর্ষিতা হয়। তখন তিনি পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তাঁর তিন বছরের মেয়ে সহ সাতজনকে খুন করে দোষীরা। অন্ত্বসত্ত্বা বিলকিসকে (Bilkis Bano) গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের অভিযোগে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট গুজরাট সরকারের নির্দেশে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়। ধর্ষকদের কার্যত বীরের সম্মান দিয়ে বরণ করা হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে। তারপরই দেশজুড়ে অসন্তোষের হাওয়া বইতে শুরু করে। একাধিক মামলা দায়ের হয় গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।

বিতর্কের মধ্যেই গুজরাট সরকার জানায় যে, জেলে ওই ১১ জন ধর্ষক এবং খুনি ‘ভাল আচরণ’ করেছেন, সে কারণেই তাঁদের সাজার মেয়াদ কমানো হয়েছে। যদিও প্রতিপক্ষ দাবি করে, ওই ১১ জন বিভিন্ন সময় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে যখন জেলের বাইরে ছিলেন, তখনও তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিল। এঁদের মধ্যে দু’জনের বিরুদ্ধে প্যারোলে মুক্ত থাকার সময় অপরাধ মূলক কার্যকলাপের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। মোট ১০ জনই বিভিন্ন সময়ে প্যারোলের নিয়মভঙ্গ করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে।

একটি মামলা করেছিলেন বিলকিস নিজে। অপর মামলা করেন সিপিআইএম নেতা সুভাষিণী আলি, সাংবাদিক রেবতী লাল সহ কয়েকজন।  মামলার মূল বক্তব্য ছিল, আদৌ দোষীদের চিরাচরিত রীতি মেনে মুক্তি দিয়েছে কিনা রাজ্য। কারণ যে আইনের নিরিখে গুজরাট সরকার ১১ জনকে মুক্তি দেয়, ১৯৯২ সালের সেই আইন ২০১৪-য় নতুন আইন চালু হওয়ার পর বাতিল হয়ে যায়। নতুন আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মুক্তি রদ করা হয়।

সোমবার এই মামলার রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানির শুরুতেই শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, ধর্ষকদের সাজা মকুব করার কোনও আইনি এক্তিয়ার নেই গুজরাট সরকারের। কারণ মামলা দায়ের থেকে সাজা ঘোষণা-সমস্তটাই হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের অধীনে। তাই ধর্ষকদের সাজা ফুরানোর আগে তাদের মুক্তি দেওয়া প্রসঙ্গে গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হচ্ছে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আসলে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে গুজরাট সরকার।

বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের পর্যবেক্ষণ, জালিয়াতি করে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করতে হবে ধর্ষকদের।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest