তামিলনাড়ুর কুন্নুরে ভয়াবহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ভেঙে পড়ে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের কপ্টার। সস্ত্রীক মারা যান তিনি। কপ্টারে থাকা প্রায় সবাই মারা গেছেন। একজন এখনও বেঁচে আছেন বলে জানা গেছে।
তামিলনাডুর সুলুর থেকে কপ্টারটি যাচ্ছিল কুন্নুরে। ওটির খুব কাছে সেটি একটি জঙ্গলঘেরা জায়গায় ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজে হাত লাগান এলাকার মানুষজন। তারাই জানিয়েছেন ভয়ঙ্কর সেই সেই দুর্ঘটনার বিস্তারিত।
প্রত্যক্ষদর্শী কৃষ্ণস্বামী নামে এক ব্যক্তি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিকট একটা শব্দ হল। মনে হল কোনও ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখি গাছপালার উপরে ভেঙে পড়েছে কপ্টারটি। দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। দেখলাম দু-একজন কপ্টার থেকে বেরিয়ে আসছে। সবাই একেবারে পুড়ে গিয়েছে। চোখের সামনে এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে আশপাশের লোকজনকে ডেকে জোগাড় করলাম। তারপর ফায়ার ব্রিগেড ও এমার্জেন্সি সার্ভিসকে খবর দিলাম।
অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ‘কপ্টারটি বেশ নীচু দিয়ে উড়ছিল। মনে হয়েছিল কুয়াশার কারণেই। এরপরই কপ্টারটি একটি গাছে ধাক্কা মারে। এরপর বেশ কয়েকটি গাছে ধাক্কা মারার পর বিস্ফোরণ হয় কপ্টারে। গোটা এলাকা আগুনের গ্রাসে চলে যায়।’ অপর একজন আবার বলেছেন, কপ্টারে আগুন নাকি আকাশেই লেগেছিল। ভিডিওয় দেখা গেছে, আগুনের গ্রাস থেকে কপ্টারের ভিতরে থাকা লোকজনকে বের করার চেষ্টা করছে স্থানীয়রা। আশপাশের গাছপালা ভেঙে গিয়েছে। টুকরো টুকরো হয়ে কপ্টারের ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত এমআই সিরিজে হেলিকপ্টারটি ছিল দুই ইঞ্জিনের। সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ধরণের কপ্টারগুলি, একটি ইঞ্জিন খারাপ হয়ে গেলেও, আরেকটি ইঞ্জিন দিয়ে উড়তে পারে। তবে সমস্যা হতে পারে, পাহাড়ের আবহাওয়ার। পাহাড়ি এলাকায় আবহাওয়া আচমকা বদলে যায়। কোনওভাবে কুয়াশা দৃশ্যমানতা কমিয়ে দিতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।