একুশে জয় হাসিল করা হয়ে গিয়েছে। এবার লক্ষ্য দিল্লি। তার আগে আগামী ২২ নভেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। আর সেই সফরেই থাকছে চমক। সূত্রের খবর, দিল্লিতে মমতার উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন গান্ধী পরিবারের সদস্য তথা বিজেপি নেতা বরুণ গান্ধী।
গান্ধী বংশের এই ব্যক্তি ব্যতিক্রমী। এই বংশের রাজনৈতিক পরিচয়ের ঠিক উলটো স্রোতে ইন্দিরার কনিষ্ঠপুত্র সঞ্জয় গান্ধীর ছেলে বরুণ। তাঁর মা মেনকা গান্ধী। তিনিও বিজেপি করেন। তা দেখেই গেরুয়া শিবিরের প্রতি টান তাঁর। বরুণ বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের পিলভিটের সাংসদ। তবে সম্প্রতিককালে বরুণ গান্ধীর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক তেমন একটা ভাল নয়।
লখিমপুর হিংসায় কৃষক হত্যার নিন্দা করেছিলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। কৃষক হত্যার ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করে তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠিও লিখেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষে নিজের দলের প্রতি তাঁর আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগেই মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে নাথুরাম গডসের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন। একই সঙ্গে তাঁর মা মানেকা গান্ধীও কৃষক আন্দোলনে কৃষকদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছিলেন। এরই মধ্যে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি থেকে মেনকা ও বরুণকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে দলের সংগঠনেও তাঁদেও গুরুত্ব হ্রাস করেছে বিজেপি।
যদিও এ মুহূর্তে তাঁর পক্ষে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে বিজেপি ছাড়ার পর তাঁর একটি নতুন রাজনৈতিক মঞ্চের প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলকেই তিনি বেছে নিতে পারেন। যদিও তৃণমূলের তরফে বরুণের দলবদল নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট মন্তব্য করা হয়নি। তবে বিজেপি-র উপর যে সব নেতা ক্ষুব্ধ, কিন্তু কংগ্রেস যাওয়ার জায়গা নেই, তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে যে যোগাযোগ করছেন, তেমনই জানিয়েছেন এক শীর্ষ তৃণমূল নেতা। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসে সম্ভাব্য অতিথির তালিকায় রয়েছেন জেডিএস থেকে বিএসপি-তে যোগ দেওয়া দানিশ আলি। গত বছর তাঁর সঙ্গে মতান্তরের জেরে তাঁকে লোকসভার নেতার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন মায়াবতী।
প্রসঙ্গত, এর আগে গোয়া সফরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ, অভিনেত্রী নাফিসা আলি। এবার দিল্লি সফরে মমতার ঝুলিতে চর্চায় থাকা বরুণ গান্ধী আসেন কিনা এখন সেটাই দেখার।