Site icon The News Nest

লোকসভায় শাখা সিঁদুর পরে এসেছিলেন নুসরত, তথ্য তুলে পদ খারিজের দাবি বিজেপি সাংসদের

nusrat married

লোকসভায় অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan)। সম্প্রতি তাঁর ও নিখিল জৈনের (Nikhil Jain) সম্পর্ক নিয়ে একটি বিবৃতি দেন নুসরত, যেখানে তিনি দাবি করেন যে তাঁদের বিয়ের কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই, তাই সেটা আদতে বিয়েই নয়। লিভ-ইন বলা চলে। তা সত্ত্বেও লোকসভায় কেন নিজেকে বিবাহিত বলে পরিচয় দিলেন বসিরহাটের সাংসদ? লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে নুসরতের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ জানালেন বিজেপি সাংসদ সঙ্ঘমিত্রা মৌর্য।

আরও পড়ুন : Internet Sensation: লাল অফ শোল্ডারে নেটজনতার চোখে ধাঁধা লাগালেন ‘অপরাজিতা অপু’র আন্টি টু,

আজ, মঙ্গলবার লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর সাংসদ সঙ্ঘমিত্রা। তাঁর দাবি, লোকসভায় ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে নুসরতের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

সম্প্রতি নিখিলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে নুসরত যে বিবৃতি দিয়েছেন, তার উল্লেখ রয়েছে এই অভিযোগে। নুসরত তাঁর বিবৃতিতে দাবি করেন, ‘আমার আইনত বিয়ে হয়নি। তাই বিবাহবিচ্ছেদের প্রশ্ন উঠেছে না। আমরা অনেকদিন ধরেই আলাদা থাকছি।’ অভিনেত্রী তথা সাংসদ আরও জানিয়েছেন, তাঁর এবং নিখিলের তুরস্কে বিয়ে হয়েছিল, সে দেশের নিয়ম মেনে। যা ভারতীয় আইনের স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় পড়ে না। আর ভিনধর্মে বিয়ে হওয়ায় ভারতে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টেই বিয়ের মান্যতা পাওয়া সম্ভব। নুসরতের দাবি, আদালতের বিচারে নাকি এটা বিয়ে নয়। বরং সম্পর্ক, লিভ ইন সম্পর্ক। সে কারণেই দাম্পত্য বিচ্ছেদের কোনও প্রশ্ন ওঠে না বলে দাবি নায়িকার। নুসরতের কথায়, “অনেকদিন আগে আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছি। আমি এটা নিয়ে কথা বলিনি। কারণ ব্যক্তিগত জীবন ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছি। সুতরাং আমার কোনও কাজ সেপারেশনের নিরিখে প্রশ্ন করা উচিত নয়। আইনের চোখে আমাদের বিয়েই হয়নি।”

সংঘমিত্রা চিঠিতে লিখেছেন গণমাধ্যমে নুসরত নিজের বৈবাহিক সম্পর্ক বিষয়ে যা বলেছেন তা লোকসভায় শপথ নেওয়ার সময় তিনি যে তথ্য দিয়েছিলেন তার ঠিক উল্টো। এক্ষেত্রে তাঁর সদস্যপদটি আইনের চোখে খারিজযোগ্য।

সংঘমিত্রা মনে করিয়েছেন ২০১৯ সালের ২৫ জুন নুসরত জাহান শপথ নেওয়ার সময়ে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন নুসরত জাহান রুহি জইন। নববধূর বেশেই তিনি হাজির হয়েছিলেন সংসদে। এমনকি সেই সময় সিঁদুর পরার কারণে তাঁকে একদল মৌলবাদী আক্রমণ করেছিল বলেও মনে করিয়েছেন সংঘমিত্রা। তাঁর কথায়, সে সময়ে সব দলের সাংসদরা নুসরাতের পাশে ছিল ।

সংঘমিত্রা মনে করাচ্ছেন, নুসরতের বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বয়ং  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন। পরে  এএনআই-কে তিনি আরও বলেন, কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে  নাক গলানো উচিত নয়। কিন্তু তিনি সম্প্রতি মিডিয়ায় যা বলেছেন তার অর্থ এই যে সংসদে তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন। এখন লোকসভায় বেআইনি এক্তিয়ার বা মিথ্যে কথা বললে আসলে সংসদ এবং তার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে মানুষের মনে ভুল ধারণা তৈরি করে। সেই কারণেই তাঁর এই পদক্ষেপ বলে জানাচ্ছেন সংঘমিত্রা।

আরও পড়ুন : EURO 2020: প্রথম দল হিসাবে ইউরোর ইতিহাসে অনন্য নজির ডেনমার্কের

Exit mobile version