ঝাড়খন্ডের নতুন বিধানসভা ভবনে (Jharkhand Assembly) নমাজের জন্য আলাদা ঘর নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আলাদা নমাজ-ঘর নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, হিন্দুদের হনুমান চালিশা পাঠের জন্য আলাদা ঘর বরাদ্দ করা হোক।
ঝাড়খন্ড সরকারের ২ সেপ্টেম্বরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, নতুন বিধানসভা ভবনের (Jharkhand Assembly) টিডব্লু ৩৪৮ নম্বর ঘর নমাজের জন্য বরাদ্দ করা হল। সরকারের সিদ্ধান্তে আপত্তি করেছে বিজেপি (BJP)। এক নেতার কথায়,’আলাদা ঘরে মুসলিমরা নামাজপাঠ করতে পারবেন। তাহলে হিন্দুদের হনুমান চালিশা পাঠের জন্য আলাদা জায়গা কেন দেওয়া হবে না! একটি হলঘর অথবা ৫টি ঘর বরাদ্দ করা হোক।’
আরও পড়ুন: আরএসএস-এর সঙ্গে তালিবানের তুলনা! ক্ষমা চাইতে হবে জাভেদকে, তড়পালেন বিজেপি নেতা
আরও এক কাঠি এগিয়ে বিধানসভা চত্বরে মন্দির নির্মাণের দাবি তুলেছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও বিজেপি নেতা সিপি সিং। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি জানান,’আমরা নমাজঘরের বিরোধী নই। আমাদের দাবি, ঝাড়খন্ড বিধানসভার চৌহদ্দিতে হনুমান মন্দির নির্মাণ করা হোক। অধ্যক্ষ অনুমতি দিলে আমরাই খরচ করব।’
বিজেপি নেতা বাবুলাল মারান্ডির কথায়,’বিধানসভা গণতন্ত্রের মন্দির হিসেবেই থাকা উচিত। নামাজঘর বরাদ্দের সিদ্ধান্ত ভুল। তার বিরোধিতা করছি আমরা।’২০১৯ সালে ঝাড়খন্ড বিধানসভা ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিন তলা ভবন নির্মাণে খরচ পড়েছে ৪৬৫ কোটি টাকা। এটাই দেশের প্রথম ‘কাগজহীন’ বিধানসভা বলে মনে করা হচ্ছে।
झारखण्ड विधानसभा परिसर में इस्लाम धर्म विशेष की धार्मिक प्रक्रिया नमाज अदायगी के लिए विशेष कक्ष का असंवैधानिक आवंटन के संबंध में झारखंड विधानसभा के माननीय अध्यक्ष श्री रविंद्र नाथ महतो जी को पत्र लिखा।@Rabindranathji @BJP4Jharkhand @idharampalsingh @dprakashbjp @yourBabulal pic.twitter.com/gvqPq3Lesn
— Biranchi Narayan (@biranchi36) September 4, 2021
ঝাড়খন্ড সংখ্যালঘু কল্যাণমন্ত্রী হাফিজুল আনসারী বলেছেন, বিধানসভায় নামাজ পড়ার কোনও ঘর না থাকার কারণে মুসলিম বিধায়কদের অনেককেই বাড়ি থেকে নামাজ পড়ে ফের তাড়াহুড়ো করে বিধানসভায় ফিরে আসতে হয়। আনসারী আরও বলেন, ‘বিজেপির চরিত্র কী তা সকলেই জানেন। ওরা সর্বদা রাজনীতির বিষয় খুঁজে বেড়ায়। যেকোনো তুচ্ছ বিষয় পেলেই ওরা তাকে ধর্মের সঙ্গে যুক্ত করে রাজনীতি শুরু করে দেয়।
ঝাড়খন্ড বিধানসভার স্পিকার মাহাতো বলেন, পুরোনো বিধানসভায় নামাজ পড়ার জন্য আলাদা ঘর ছিল। এখন পুরোনো বিল্ডিং থেকে নতুন বিল্ডিংয়ে বিধানসভাকে সরিয়ে আনা হয়েছে। সে কারণেই সেখানে নামাজ পড়ার জন্য সেখানে আলাদা ঘর রাখা হয়েছে। এটা নয়া কোনও সিদ্ধান্ত নয়। নামাজ পড়ার জন্য এখনও কোনও জায়গা নির্ধারিত হয়নি। তবে একটা ঘর বরাদ্দ হয়েছে।
আরও পড়ুন: Relationship Tips: ঝগড়ার পরেই সঙ্গীর ঠোঁটে ঠোঁট রাখুন, পাবেন মিলনের আসল আনন্দ