‘আগামী কয়েক দশকের জন্য বিজেপি কোথাও যাচ্ছে না।’ গোয়াতে অকপটে স্বীকার করলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর কথায়, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি আগামী কয়েক দশক ধরে ভারতীয় রাজনীতিতে একটি মূল ভিত্তি হয়ে থাকবে এবং অনেক দশক ধরে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’
তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার (Political Strategist) ভবিষ্যতবাণী, “হারুক বা জিতুক, ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রে থাকবে বিজেপি (BJP)। ঠিক যেমনটা শুরুর প্রথম ৪০ বছরে কংগ্রেসের অবস্থা ছিল। সেদিকেই এগোচ্ছে বিজেপি (BJP)। যখন জাতীয়স্তরে কেউ ৩০ শতাংশ ভোট পায়, তখন বুঝতে হবে সে তাড়াতাড়ি যাওয়ার নয়।” তিনি আরও বলেন, “কখনই এই ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয় যে মানুষ মোদীর (PM Narendra Modi) উপর ক্ষুব্ধ এবং তাঁকে ক্ষমতাচ্যুৎ করবে। হয়ত মোদী (PM Narendra Modi) হেরে যাবেন কিন্তু বিজেপি BJP) কোথাও যাচ্ছে না। এখনও বেশ কয়েক দশক লড়তে হবে।”
কয়েক মাস আগেও জল্পনা ছিল তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন। এমনকি, তাঁর জন্য এআইসিসি-তে ‘বিশেষ পদ’ তৈরি হতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু প্রশান্তের সঙ্গে কংগ্রেসের সেই আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে বলেই বর্তমানে রাজনৈতিক মহলের খবর। এই পরিস্থিতিতে বুধবার গোয়ায় নেটমাধ্যমে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
মোদী এবং বিজেপি-র শক্তির মূল্যায়নে রাহুলের ভাবনায় ভুল রয়েছে বলে মনে করেন প্রশান্ত। তিনি বলেন, ‘‘তিনি (মনে) করেন এটি শুধু সময়ের অপেক্ষা। মানুষই তাঁকে (মোদী) সরিয়ে দেবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। আপনি যদি প্রতিপক্ষের সঙ্গে শক্তিপরীক্ষা না করেন, তাঁর শক্তি সম্পর্কে আপনার উপলব্ধি না হয়, কখনোই তাঁকে হারাতে পারবেন না।’’
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই প্রশান্ত টুইটারে লিখেছিলেন, লখিমপুর খেরির ঘটনায় কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীদের দ্রুত ও স্বতঃস্ফূর্ত পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা দেখে যাঁরা উচ্ছ্বসিত, তাঁদের জন্য বড় মনখারাপ অপেক্ষা করছে। দুর্ভাগ্যবশত, এই প্রাচীন দলের গভীর বদ্ধমূল সমস্যা ও কাঠামোগত দুর্বলতার কোনও চটজলদি সমাধান নেই।