রবিবার থেকে দিল্লিতে বিজেপির (BJP) জাতীয় কর্মসমিতির (National Executive) বৈঠক বসছে। অন্যদিকে কয়েক মাস পর আগামী বছরের শুরুতে দেশের পাঁচ রাজ্য অর্থা উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, গোয়া এবং মণিপুরে নির্বাচন। গেরুয়া শিবিরের পাখির চোখ এখন এই উপনির্বাচন। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে যে এদিকেই নজর থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
ভার্চুয়াল এই বৈঠকে অংশ নেবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে থাকবেন বাংলার প্রতিনিধিরাও। বৈঠকে বাংলার উপনির্বাচনে বিজেপির ফলাফল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই বৈঠকে বঙ্গ বিজেপি-র (Bengal BJP) রাজ্য কমিটির রদবদল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলেও খবর।ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন BJP-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, অনুপম হাজরারা। যদিও দিল্লিতে কর্মসমিতির বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী কৌশল এবং রণনীতি।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, এ রাজ্যে বিধানসভায় পর্যুদস্ত হওয়ার পর যেভাবে দলবদল শুরু হয়েছে, একের পর এক নেতা ফিরে যাচ্ছেন তৃণমূলে, সেদিকে নজর রেখে দল ছাড়ার প্রবনতা রয়েছে, এরকম কাউকে রাজ্য কমিটির কোনও শীর্ষ পদে আর নাও রাখা হতে পারে বলে খবর। একইসঙ্গে দলের আদর্শ মেনে চলা ও দলের ইতিহাস জানার পাঠও নতুনদের দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে বলেই খবর।
দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ”দলের নেতৃত্ব আলোচনায় বসছে। যারা ক্ষমতার লোভে দলে এসেছিলেন, স্বার্থসিদ্ধি না হওয়ায় তাঁরা থাকতে পারছেন না। দলের পুরনো কর্মীরা দলের সঙ্গেই আছেন। তবে, কোন পথে দলের এগোনো উচিৎ, সে সম্পর্কে নিশ্চয় আলোকপাত করা হবে।”
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং জানিয়েছেন, রবিবার সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত চলবে কর্মসমিতির বৈঠক৷ এবারের বৈঠকে রাজনৈতিক প্রস্তাব পেশ হবে। দিল্লির এনডিএমসি কনভেনশন সেন্টারে মোট ১২৪ জন সদস্য উপস্থিত থাকবেন এদিন। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের রাজ্য সভাপতি ও অন্য সদস্যরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন এই সভায়। সভায় উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন নাড্ডা। আর সমাপ্তি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিধানসভা ভোটের পর থেকে দলের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলেও বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করা হয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সম্প্রতি তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ স্বাভাবিক কারণেই তাঁর কর্মসমিতির বৈঠকে থাকার কথা নয়। যা নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়াবে বিজেপি-র। কমিটির সদস্য করা হয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকেও। কিন্তু তিনিও বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন কিনা, সেদিকেও নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল।