সামনেই পরীক্ষা। কানে ব্লুটুথ হেডফোন (Bluetooth headphone) লাগিয়ে পড়াশোনা করছিলেন পড়ুয়া।আচমকাই তাতে বিস্ফোরণ ঘটে। মর্মান্তিক মৃত্যু হল ২৮ বছর বয়সি যুবকের। ঘটনাটি রাজস্থানের (Rajasthan) এক যুবকের। শনিবার জয়পুর পুলিশের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের ঘটনা এদেশে সম্ভবত এই প্রথম ঘটল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, জয়পুর জেলার উদয়পুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাকেশকুমার নাগার গতকাল, শুক্রবার নিজের ঘরে বসে পড়াশোনা করছিলেন। সামনেই চাকরির পরীক্ষা। তাই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর কানে লাগানো ছিল হেডসেটটি। সেটি একটি ইলেকট্রিক আউটলেটের সঙ্গে লাগানো ছিল। হঠাৎই ঘটে যায় প্রবল বিস্ফোরণ।
বিস্ফোরণের ধাক্কায় তখনই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে কাছাকাছি একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাকেশের দু’টি কানই ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালের ডাক্তার এলএন রুন্ডলা জানিয়েছেন, রাকেশকে যখন নিয়ে আসা হয় সেই সময় তাঁর শরীরে কোনও সাড় ছিল না। চিকিৎসা শুরু করা হলেও শেষ পর্যন্ত মারা যান ওই যুবক। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলেই জানিয়েছেন ডাক্তাররা। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হয়েছিল রাকেশের। পরিবারে তিনিই সবচেয়ে বড় সন্তান।
আরও পড়ুন : breaking : ভারতের প্রথম সোনা, ইতিহাস গড়লেন নীরজ চোপড়া, গড়লেন একাধিক রেকর্ড
এতদিনের পরিচিত তারওয়ালা ইয়ারফোন কিংবা হেডফোনের তুলনায় ব্য়বহার অনেক সহজ হওয়ায় ব্লু টুথ হেডফোন এবং ইয়ারফোন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নানা প্রজন্মের কাছেই সহজে গ্রহণীয় হয়ে উঠেছে এই ডিভাইস। কিন্তু এযাবৎ ব্লু টুথ হেডফোন, ইয়ারফোন থেকে এই ধরনের কোনও দুর্ঘটনা কিংবা বিস্ফোরণের খবর সেভাবে পাওয়া যায়নি। ডাক্তারদের মতে, সম্ভবত রাকেশই প্রথম এই ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন।
সিদ্ধিবিনায়ক হাসপাতালের চিকিৎসক এল এন রুন্দিয়া বলেন, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তেমন কিছু করা যায় না। চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর মৃত্যু হয়। উলিস জানিয়েছে মৃত রাকেশ চলতিবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিবাহ করে। বাবা মার্ তিনি সবথেকে বড়ছেলে।
আরও পড়ুন : Tokyo Olympics: দেশে আরও এক পদক, ব্রোঞ্জ জিতলেন পুনিয়া