সামনেই পুজোর মরশুম৷ এমন সময়ে পর্যটকদের ঢল নামে পাহাড়ে৷ তাই বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট চারধাম যাত্রা শুরুর অনুমতি দিতেই খুশির হাওয়া পর্যটক মহলে৷ হিমালয়ের পার্বত্য কোলের গঙ্গোত্রী (Gangotri), যমুনোত্রী (Yamunotri), বদ্রীনাথ (Badrinath) এবং কেদারনাথ (Kedarnath) দর্শনের ই-পাস সংগ্রহের হিড়িক পড়ে গিয়েছে তীর্থযাত্রীদের মধ্যে৷ ১৮ সেপ্টেম্বর তীর্থযাত্রীদের জন্য খুলে গিয়েছে চারধাম (Chardham Yatra)৷ চারধাম দেবস্থানম বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ১২ দিনের বুকিং শেষ৷ প্রথম দিনই ১০ হাজার ই-পাস বিলি করা হয়েছে৷
২৮শে জুন চারধাম যাত্রার উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল। ১৮ সেপ্টেম্বর স্থগিতাদেশ তুলে নিল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। তবে যাত্রার জন্য পূণ্যার্থীদের সংখ্যা অবশ্য সীমিত করা হয়েছে। কেদারনাথের জন্য ৮০০জন, বদ্রিনাথের জন্য এক হাজার জন, গঙ্গোত্রীর জন্য ৬০০জন ও যমুনোত্রীর জন্য ৪০০জনের কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
মামলাকারীদের পক্ষে শিব ভট্ট জানিয়েছেন, চারধামে হেলিকপ্টার ও অ্যাম্বুল্যান্স মজুত রাখার ব্যাপারেও সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হরিদ্বার থেকে চারধাম পর্যন্ত নানা ব্যবস্থা করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেড. অক্সিজেন, চিকিৎসক সহ অন্য়ান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত সুযোগ বৃদ্ধি করার ব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরই তীর্থযাত্রীদের জন্য শুক্রবার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি জারি করে উত্তরাখণ্ড সরকার৷ সেখানে বলা হয়েছে, যাত্রা শুরুর ১৫ দিন আগে কেরল, মহারাষ্ট্র এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তীর্থযাত্রীদের ভ্যাকসিনের দু’টো ডোজ নিতে হবে৷ সঙ্গে রাখতে হবে টিকার শংসাপত্র৷ তবে অন্য রাজ্যের তীর্থযাত্রীদের ক্ষেত্রে যদি টিকার একটা ডোজ নেওয়া থাকে সেক্ষেত্রে যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টার আগের আরটি-পিসিআরের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে৷ কেদার-বদ্রী দর্শনের জন্য ই-পাস সংগ্রহ করতে হবে স্মার্ট সিটি পোর্টাল থেকে৷ সবার আগে তীর্থযাত্রীদের ওই পোর্টালে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে৷ সেখান থেকেই মিলবে ই-পাস৷