কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণার পর থেকেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে নয়া দল গড়তে চলেছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করলেন যে তিনি নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করছেন। তবে দলের নাম ও প্রতীক এখনও নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন পায়নি বলে জানান তিনি। ক্যাপ্টেন জানান, তাঁর আইনজীবীরা এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলছে। অনুমোদন পেয়ে গেলেই নতুন দলের নাম ও প্রতীক প্রকাশ্যে আনবেন বলেও জানান অমরিন্দর।
তবে দলে কারা থাকছেন, অমরেন্দ্রপন্থী কংগ্রস সদস্যরাও সেখানে নাম লিখিয়েছেন কি না, সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন করা হলে জানিয়েছেন, তাঁর দলে রাজ্যের অনেক বড় বড় নেতা রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা কারা তা আপাতত গোপনীয়। নতুন দলের নাম ঘোষণা করার পরই নেতাদের নাম জানা যাবে।
আসন্ন পাঞ্জাব বিধানসভা ভোটে নবগঠিত দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন ক্যাপটেন। তাঁর সাফ ঘোষণা, ‘১১৭ আসনে লড়াই করবেন দলীয় প্রার্থীরা।’
পাঞ্জাবে সঙ্কটে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী চান্নি ও প্রদেশ সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুর বিরোধ প্রকট হয়েছিল। ইস্তফা দিলেও শেষ পর্যন্ত হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে ফের প্রদেশ সভাপতি পদে কাজ চালাচ্ছেন সিধু। কিন্তু ছাই চাপা আগুন কবে মাথাচাড় দেবে তাই নিয়েই আতঙ্কে হাত শিবির। এই পরিস্থিতি শতাব্দী প্রাচীন দলের নেতাদের মাথাব্যথা আরও বাড়ালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। অমরিন্দর সিং বলেছেন, ‘আমার নতুন দলে প্রচুর সংখ্যায় কংগ্রেসের নেতা, কর্মী, সমর্থক রয়েছেন। ক্রমেই তার প্রমাণ পাবেন।’
কংগ্রেসকে বেগ দিতে এবার একদা বিরোধী বিজেপিতেই আস্থা রাখেছেন ক্যাপটেন অমরিন্দর সিং। সাফ জানিয়েছেন যে, আগামী বিধানসভা ভোটে তাঁর দল বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করবে। তবে, এনডিএ-র প্রাক্তনী অকালী দলের সঙ্গে জোটে যেতে নারাজ অমরিন্দর সিং।