কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ জোরদার হতেই ফের সেই পুরনো প্রশ্নটি সামনে এসেছে- করোনা সংক্রমণ কি জৈব যুদ্ধের অংশ? এই নিয়ে দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রচুর লেখালেখি শুরু হয়েছে। জৈব যুদ্ধের প্রসঙ্গ যখন উঠেছে, তখন ফের আঙুল চিনের দিকে। এহেন পরিস্থিতিতে ক্রমে জৈব যুদ্ধের আশঙ্কা যে বাড়ছে, সেই ইঙ্গিত দিলেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত।
জেনারেল বিপিন রাওয়ার বিমসটেক সদস্যদেশগুলির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্যানেক্স ২১ এর উদ্বোধ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। সেই আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেই তিনি জৈব যুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন জৈব যুদ্ধ একটি নতুন ধরেন যুদ্ধে পরিণত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন জৈব যুদ্ধের মত পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
জৈব যুদ্ধ শুরু করে ভাইরাস বা কোনও রোগের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে যাতে আগামী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তাও দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি এই জাতীয় যুদ্ধের মোকাবিলা করার জন্য নিজেদের শক্তি আরও বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন জৈব যুদ্ধ যদি শুরু হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জীবাণু বা ভাইরাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি থাকতে হবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে চিন, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া-সহ একাধিক দেশ জৈবিক ও রাসায়নিক হাতিয়ার তৈরি করছে। যুদ্ধক্ষেত্রে যে কোনও সময়ে ওই হাতিয়ার প্রয়োগ করতে পারে শত্রুপক্ষ। তাই এবার নিজেকে তৈরি করছে ভারত। আগেই যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের সুরক্ষায় আমেরিকা থেকে ৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অত্যাধুনিক পোশাক ও গ্যাস মাস্ক কিনেছে ভারত। ওই পোশাকগুলি সমস্ত রকমের জৈবিক ও রাসায়নিক হামলা রুখে দিতে সক্ষম।