central government increse processing charge of blood

জীবনদায়ী ওষুধের পর দ্বিগুণ দাম বাড়ল রক্তের, এক বোতল কিনতে কত খরচ হবে জানুন

পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের পর এবার মূল্যবৃদ্ধির খাঁড়া নামল জীবনদায়ী রক্তেও। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি ইউনিট রক্তের ন্যূনতম দাম বা প্রসেসিং চার্জ বাড়ল ৫০ থেকে ১০০ টাকা। সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে বেসরকারি হাসপাতালের রোগীদের জন্য রক্ত নিতে হলে, ডোনার কার্ড না থাকলে এতদিন দিতে হত ইউনিট পিছু ১ হাজার ৫০ টাকা।এখন তা বেড়ে হল ইউনিট পিছু ১১০০ টাকা। আর বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে ডোনার কার্ড ছাড়া রক্ত নিতে হলে এতদিন ইউনিট পিছু হোল ব্লাডের দাম ছিল ১ হাজার ৪৫০ টাকা। তা বেড়ে হল ১ হাজার ৫৫০ টাকা।

জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল ডাঃ অনিল কুমার গত মঙ্গলবার এই নয়া নির্দেশ জারি করেছেন। সেই নোটিসেই জানানো হয়েছে, ওইদিন থেকেই এই দাম লাগু হওয়ার কথা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চড়া বাজারে রক্তের মতো জীবনদায়ী সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি নিয়ে চটে লাল স্বেচ্ছায় রক্তদান আন্দোলনে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গের স্টেট ব্লাড সেলের নোডাল অফিসার ডা. নিতাইচন্দ্র মণ্ডলের কথায়, আপাতত প্রস্তাব বলে মনে হলেও আগামী দিনে তা বাধ্যতামূলক হতে পারে। এর ফলে সরকারি ব্লাডব্যাংকের তেমন চাপ না পড়লেও বেসরকারি ব্লাডব্যাংকগুলিতে প্রভাব পড়বে।  তবে, প্লাজমা ও প্লেটলেটের দাম একই রয়েছে।

আরও পড়ুন: নূপুর শর্মা,শাবা নকভিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করল অমিত শাহের পুলিশ

ইউপিএ সরকারের আমলে ২০০৮ সালে হোল ব্লাডের দাম ছিল ৮৫০ টাকা। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই ২০১৪ সালে তা বাড়িয়ে করে ১ হাজার ৪৫০ টাকা। আর এখন তো তা বেড়ে হল ১ হাজার ৫৫০ টাকা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, চড়া বাজারে সংসার চালাতে মানুষের কালঘাম ছুটছে। এই অবস্থায় জীবনদায়ী রক্ত কিনতে যদি আরও বেশি দাম দিতে হয় তাহলে মানুষ যাবে কোথায়। মোদী সরকার কী আমজনতার রক্তচুষে খেতে চাইছে, প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগী মানুষেরা।

এ ব্যাপারে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের সাফাই, গত ৩০-৪০ বছর ধরে রক্তের দাম বাড়েনি। এবার তাই সামান্য বাড়ানো হল। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রচুর টাকা বরাদ্দ করে ফি বছর। এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে জিডিপি বেড়েছে। দাম বেড়েছে সব জিনিসেরও। তাঁর আরও দাবি, মুলত প্রাইভেট নার্সিংহোমগুলিকে চাপে রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: Bulldozer: বাড়ি গুঁড়িয়ে প্রতিশোধ নেওয়া যায় না, যোগীকে বুলডোজার-নোটিস সুপ্রিম কোর্টের