CAA-র নিয়ম তৈরি না হলেও মুসলিম দেশ থেকে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্বের বিজ্ঞপ্তি জারি MHA-র

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯-এর মাধ্যমেও বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

এখনও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের নিয়ম তৈরি করে উঠতে পারেনি কেন্দ্র। তবে এরই মাঝে দেশের পাঁচ রাজ্যের ১৩টি জেলায় পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ এবং নাগরিকত্ব নিয়ম, ২০০৯ সালের অধীনে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। গুজরাত, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং পঞ্জাবের ১৩টি জেলায় এই নাগরিকত্বের আবেদন জানাতে পারবেন প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা শরণার্থীরা।

আরও পড়ুন : জেনে নিন মতুয়া সম্প্রদায় ও মানবতার জন্য গুরুচাঁদ ঠাকুরের ত্যাগ

প্রসঙ্গত, মুসলিম দেশগুলি থেকে নিপীড়িত হয়ে আসা সংখ্যালঘুদের জন্য তৈরি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এখনও বলবৎ করা হয়নি। ফলে এই গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। এখনই কার্যকর হচ্ছে না সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA। মোদি সরকারের আশ্বাস সত্বেও গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই আইন (CAA) কার্যকর করার সময়সীমা আরও বেড়েছে।

চলতি বছরে এই আইন কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়িয়ে দেয় সংসদীয় কমিটি। তাদের নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে কার্যকর করতে হবে এই নাগরিকত্ব আইন। ফলে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া কার্যত থেমে গিয়েছে বলেই মত অনেকের।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯-এর মাধ্যমেও বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ১০ জানুয়ারি ২০২০ থেকে সিএএ লাগু হয় দেশে। তবে আজও পর্যন্ত সেই আইনের নিয়ম তৈরি হয়নি। এদিকে ২০১৯-এর শেষ লগ্ন থেকেই দেশে সিএএ বিরোধী আন্দোলন সুরু হয়েছিল বিভিন্ন জায়গায়। আইন পাশ হওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই আইন বলবৎ করতে পারেনি কেন্দ্রের মোদী সরকার।

এর আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি করতে এবং তা প্রয়োগ করতে চলতি বছরের ৯ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাজেট অধিবেশনের সময় এই সময়সীমা বৃদ্ধি করানো সংক্রান্ত অনুমোদন মেলে সংসদের। উল্লেখ্য, সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিল পাস হলে তার ৬ মাসের মধ্যে তা প্রস্তুত করে ফেলতে হয়। তবে প্রয়োজনে সরকারের তরফে এই বিষয়ে সময়সীমা বাড়াতে সংসদের সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে চাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তিনবারের বেশি সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করা যাবে না।

আরও পড়ুন : Bengal Politics: ‘আমায় চড় মেরেছে’,কালীঘাট থানায় অভিযোগ রুদ্রনীলের, তৃণমূল বলছে মিথ্যা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest