ভোজ্য তেলে আসছে ‘আচ্ছে দিন’। সস্তা হতে চলেছে রান্নার তেল (cooking oil )। গত চারদিনে ১৫ শতাংশ সস্তা হল রান্নার তেল। জোর জল্পনা আগামী কয়েকদিনে প্রতি লিটার তেলে ৪০ থেকে ৫০ টাকা সস্তা হতে চলেছে ভোজ্য তেল।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের মধ্যে সম্প্রতি যেভাবে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ছিল, তাতে মাথায় হাত পড়েছিল বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিলেন, ভারতে যেহেতু ভোজ্য তেলের উৎপাদন কম, তাই আন্তর্জাতিক বাজারে উত্থান-পতনের ভিত্তিতে দেশীয় বাজারের দরে হেরফের হয়। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে সেই সমস্যা মেটানো যায়, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বুধবার মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘গত এক মাসে ভোজ্য তেলের দাম কমেছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে দাম পড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত।’ সঙ্গে যোগ করা হয়েছে, ‘বিভিন্ন জটিল বিষয়ের উপর ভোজ্য তেলের দাম নির্ভর করে। তার মধ্যে আছে – আন্তর্জাতিক বাজারের দর এবং ঘরোয়া উৎপাদন। দেশে উৎপাদন এবং চাহিদার মধ্যে যেহেতু বড়সড় ফারাক আছে, তাই ভোজ্য তেলের একটা বড় অংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।’
আরও পড়ুন: GST কমলেও একেবারে মুক্ত হল না কোভিড পথ্য ও টিকা, ছাড় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধে
নয়া দাম (মুম্বইয়ের ভিত্তিতে)
১) কেন্দ্রের দাবি, গত ৭ মে এক কিলোগ্রাম পাম তেলের দাম ছিল ১৪২ টাকা। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১১৫ টাকায়। অর্থাৎ দাম কমেছে ১৯ শতাংশ।
২) গত ৫ মে এক কিলোগ্রাম সূর্যমুখী বা সাদা তেলের দাম ছিল ১৮৮ টাকা। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫৭ টাকা। অর্থাৎ দাম কমেছে ১৬ শতাংশ।
৩) ২০ মে এক কিলোগ্রাম সোয়া তেলের দাম ছিল ১৬২ টাকা। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৮ টাকা। অর্থাৎ দাম কমেছে ১৫ শতাংশ।
৪) ১৬ মে এক কিলোগ্রাম সরষের তেলের দাম ছিল ১৭৫ টাকা। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫৭ টাকা। অর্থাৎ দাম কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ।
৫) গত ২ মে এক কিলোগ্রাম বনস্পতি দাম ছিল ১৫৪ টাকা। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪১ টাকা। অর্থাৎ দাম কমেছে প্রায় আট শতাংশ।
৬) গত ১৪ মে এক কিলোগ্রাম বাদাম তেলের দাম ছিল ১৯০ টাকা। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭৪ টাকা। অর্থাৎ দাম কমেছে প্রায় আট শতাংশ।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ, ভারতে আইনি রক্ষাকবচ হারাল টুইটার