Site icon The News Nest

মোদী সরকারের ‘ই-সঞ্জীবনী’ই সঞ্জীবন মন্ত্র, বাংলা থেকেই গিয়েছে ২ লক্ষের বেশি ফোন

e sanjivani

এখন ঘরে বসেও হাতের মুঠোয় চলে আসে যা কিছু দরকার। সৌজন্যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। রান্না করা খাবার থেকে শুরু করে ক্ষেতের আনাজপাতি। পোশাক থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় যা কিছু, সবই এখন চাইলেই মুঠোবন্দি। হোম ডেলিভারি হচ্ছে সব কিছুরই। এমনকী এখন বিভিন্ন অ্যাপের সৌজন্যে জীবনদায়ী ওষুধও মিলছে ঘরে বসেই। গত দেড় বছরে (Covid-19) ঘরবন্দি জীবন অনেক কিছু শিখিয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্বাস জুটিয়েছে, ডিজিটাল যুগে এই চার দেওয়ালের সীমায় বসেই পেতে পারেন নানা পরিষেবা। তা কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শও হতে পারে। কোভিড-১৯’র কঠিন সময়ে কেন্দ্রের টেলিমেডিসিন পরিষেবা ‘ই-সঞ্জীবনী’ (eSanjeevani) ক্রমাগত সেই কাজটাই করে চলেছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত এক বছরে দেশজুড়ে ১ কোটির উপরে মানুষ ‘ই-সঞ্জীবনী’র পরিষেবা নিয়েছেন। ধীরে ধীরে এই পরিষেবা দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও বৃহৎ টেলিমেডিসিন উদ্যোগ হয়ে উঠছে। বর্তমানে দৈনিক ভিত্তিতে প্রায় ৯০ হাজার রোগী এই পরিষেবায় চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পাচ্ছেন। এখনও অবধি ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষকে পরামর্শ দিয়েছে ‘ই-সঞ্জীবনী’।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের জাতীয় টেলিমেডিসিন পরিষেবা ই-সঞ্জীবনী দু’টি পদ্ধতিতে কাজ করে। একটি হল ই-সঞ্জীবনী আয়ুষ্মান ভারত– রোগী কল্যাণ কেন্দ্র। অপরটি সঞ্জীবনী ওপিডি। ই-সঞ্জীবনী আয়ুষ্মান ভারত– রোগী কল্যাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ৬৭ লক্ষ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণকেন্দ্রগুলিতে এই পরিষেবা পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে এই পরিষেবার সূচনা হয়। অন্ধ্র প্রদেশ দেশের প্রথম রাজ্য, যেখানে এই পরিষেবা চালু হয়। কর্মসূচির সূচনার সময় থেকে বিভিন্ন রাজ্যে ২ হাজারেরও বেশি হাব চালু হয়েছে।

পাশাপাশি ই-সঞ্জীবনী ওপিডি পরিষেবায় সাধারণ মানুষ কোভিড ও কোভিড বহির্ভূত পরিষেবা পেয়েছেন। দেশে যখন হাসপাতালগুলিতে ওপিডি বা বহির্বিভাগ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তখন গত বছরের ১৩ এপ্রিল লকডাউনের সময় এই পরিষেবা শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত ৫১ লক্ষেরও বেশি রোগী ই-সঞ্জীবনী ওপিডি থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ পেয়েছেন। এইমস-এর একাধিক কেন্দ্র থেকে এই পরিষেবা মানুষ পেয়েছেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, ই-সঞ্জীবনী – জাতীয় টেলিমেডিসিন পরিষেবা শুরু হওয়ার পর শহর ও গ্রামীণ ভারতে ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ফারাক অনেকাংশে মেটানো সম্ভব হয়েছে। এমনকী, এই পরিষেবার ফলে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের সংখ্যায় ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশে ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রসারে এই পরিষেবা বড় ভূমিকা নিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোভিডের মতো আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় টেলিমেডিসিন পরিষেবার কার্যকারিতা বিবেচনায় রেখে দৈনিক ৫ লক্ষ পরামর্শ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।

Exit mobile version