Site icon The News Nest

‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় প্রাণঘাতী হামলা’,মুখ্যসচিব বদলি ইস্যুতে মমতার পাশে সোনিয়ারা

WhatsApp Image 2021 05 29 at 8.36.53 PM

রাজ্য রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে এবার জাতীয় রাজনীতির ইস্যু হয়ে উঠছে বাংলার মুখ্যসচিবের বদলি। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Bandyopadhyay) দিল্লিতে বদলি নিয়ে একেবার দ্বিধাহীন ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এআইসিসির তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হল,”বাংলার মুখ্যসচিবকে এভাবে দিল্লিতে বদলি করে দেওয়া আসলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর মোদি সরকারের প্রাণঘাতী হামলা। এর ফলে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে।”

শনিবার এআইসিসির (AICC) তরফে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “একপেশে,একরোখা এবং অসাংবিধানিকভাবে বাংলার মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে তলব করে গোটা দেশের বিবেককে চমকে দিয়েছে মোদি (Narendra Modi) সরকার। মাত্র চারদিন আগেই ৩ মাসের জন্য তাঁর চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছিল মোদি সরকার। এটা জানার পর কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত আরও অবাক করে।”

আরও পড়ুন : CAA-র নিয়ম তৈরি না হলেও মুসলিম দেশ থেকে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্বের বিজ্ঞপ্তি জারি MHA-র

কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার প্রকাশ করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত একইসঙ্গে সংবিধান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আঘাত। এভাবে যদি শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত কেন্দ্র সরকার আইপিএস এবং আইএএসদের (IAS) ডেকে নেওয়া শুরু করে তাহলে গোটা দেশে সংবিধান এবং আইনের শাসন ভেঙে পড়বে। “

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে,”এভাবে যদি রাজ্যের আমলাদের প্রধান অর্থাৎ মুখ্যসচিবকে কেন্দ্র সরিয়ে দিতে পারে, তাহলে আইএএস-আইপিএসরা রাজ্য সরকারের নির্দেশ মানবেন কেন? এর ফলে দেশে সার্বিকভাবে নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি হবে।”

বিবৃতিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, মাত্র ৪ দিন আগে মুখ্যসচিব পদে আলাপনের কার্যকালের ৩ মাসের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবেদন মঞ্জুর করেও কেন শুক্রবার রাতে তাঁকে দিল্লি তলব করা হল? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে এমন পদক্ষেপের পিছনে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র।

নারদ মামলায় ধৃত ৪ জনের জামিন প্রসঙ্গে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে ভাবে সিবিআইয়ের আবেদনকে লিখিত হলফনামা বা রিট পিটিশন হিসেবে গ্রহণ করেছিল তা নিয়ে চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি সিন্‌হা। ওই ঘটনার উল্লেখ করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের চেষ্টার অভিযোগও করেছে কংগ্রেস।

আরও পড়ুন : আবারও ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানাল নয়াদিল্লি,গাজায় মানবাধিকার নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবে ভোট দিল না ভারত

Exit mobile version