নয়াদিল্লি: সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে নোভেল করোনাভাইরাস। সংক্রমণ রোখার তাগিদে দেশে আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লাগাতার লকডাউনের পথে হাঁটলেও চরম আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্র। মে মাসের শুরুতেই সারা দেশে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ মাত্রা ছাড়াবে। আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি হবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মে মাসের পরে ধীরে ধীরে কমবে সংক্রমণের ভয়াবহতা। তার পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে পারে। যদিও দেশজোড়া লকডাউনের প্রভাবে এই সংখ্যা থাকবে অনেকটাই কম। যে সব রাজ্যগুলি প্রথম থেকেই কঠোরভাবে লকডাউন পালন করেছে, সংকট দেখা দিলেও তাদের উপর প্রভাব অনেকটাই কম হবে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বেহাল দেশের অর্থনীতি, আবার আর্থিক প্যাকেজ দিতে মোদীর সঙ্গে বৈঠক নির্মলার
এক সিনিয়র অফিসার সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “পরের এক সপ্তাহ ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করোনা পরীক্ষা শুরু হবে দেশ। যাদের মধ্যে যাদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা তৈরি হবে, তাদের সবাইকে পরীক্ষা করা হবে।” তাঁর মতে, সরকার মনে করছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে পরীক্ষা। এছাড়া মানুষকে আউসোলেশন করাও বাড়তে থাকবে।
রাজস্থান, বিহার এবং পাঞ্জাব প্রথম থেকেই লকডাউন করায় তাদের করোনার গ্রাফ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। অন্যদিকে এখনও আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য।
শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৩৭, তার মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশে এখন মোট করোনা আক্রান্ত ১৩,৩৮৭ জন, আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজারেরও বেশি। এছাড়াও গত কয়েকদিনে প্রায় ৩৬,০০০ মানুষকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোয়ারান্টাইন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ৩.৬ লক্ষ মানুষ কোয়ারান্টাইন হয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৫০ হাজার কোটির প্যাকেজ ঘোষণা RBI-এর, কমল রিভার্স রেপো রেট