করোনার টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার তালিকায় ঢুকে পড়ল মুকেশ আম্বানির রিলায়্যান্স। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বৃহস্পতিবারই রিলায়্যান্স লাইফ সায়েন্সেস (আরএলএস)-কে ছাড় দিয়েছে দেশের ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা।
টিকা নিয়ে গত বছর থেকেই পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেছিল মুকেশ আম্বানির সংস্থা। অক্টোবরে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও হয়েছে। আশানুরূপ ফল পাওয়ার পরই দেশের ড্রাগ নিয়ামক সংস্থার কাছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আবেদন করে তারা। বিশেষজ্ঞ কমিটি টিকার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পরই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
সূত্রের খবর, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আরএলএস-এর দু’টি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়ে যাবে। এই টিকা কতটা নিরাপদ, কতটা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করছে তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রথম পর্বের ট্রায়ালের জন্য বেছে নেওয়া হবে অল্প সংখ্যক পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিকে। এই পর্বে ভাল সাড়া পাওয়া গেলে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্বে বেশি সংখ্যক মানুষের উপর টিকার প্রয়োগ করা হবে। নভি মুম্বইয়ে আরএলএস-এর প্ল্যান্টে তৈরি করা হচ্ছে এই টিকা। ২০২২-এর মার্চের মধ্যেই আরএলএস-এর তৈরি টিকা বাজারে আসতে পারে বলে সূত্রের খবর।
দেশের প্রথম সারির একটি সংবাদ পত্রের রিপোর্টে বলা হয়েছে রিলায়েন্স তার প্রস্তাবিত দুটি ডোজের কোভিড ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমতি চেয়েছিল। তারই ভিত্তিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : গোমূত্র নয়, ফুচকার তেঁতুল জলে নিজের মূত্র মেশাচ্ছেন বিক্রেতা! আঁতকে নেটদুনিয়া
সূত্রের খবর প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে খতিয়ে দেখা হবে রিলায়েন্সের টিকা কতটা নিরাপদ। টিকার সহনশীলতা, ফার্মাকোকিনেটিক্স ও ওষুধের গুণাবলীও খতিয়ে দেখা হবে। নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক ড্রাগ কন্ট্রোলারের এক অধিকর্তা জানিয়েছে, প্রথম ধাপের ট্রায়াল চলবে ৫৮ দিনের জন্য। এই ট্রায়াল শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই রিলায়েন্স দ্বিতীয় আর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে রিলায়েন্সে লাইফ সায়েন্স বা রিলায়েন্স গ্রুপ এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
আরও পড়ুন : বর্ধমানের মুকুটে নয়া পালক, ডাক বিভাগের কভারে এবার সীতাভোগ – মিহিদানার ছবি