হিন্দি বা ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনও ভাষায় কথা বললে রোগীদের বুঝতে অসুবিধা হয়। তাই ওই দুই ভাষা ছাড়া অন্য কোনও ভাষায় কথা বলা যাবে না। নির্দেশ না মানলে রয়েছে শাস্তিরও বিধান। দিল্লির গোবিন্দ বল্লভ পন্থ হাসপাতাল সম্প্রতি জারি করেছে এমনই এক নির্দেশিকা। সরকারি হাসপাতালের এহেন নির্দেশিকা ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাহুল গাঁধী, শশী তারুররা বিষয়টিকে ‘মাতৃভাষার উপর আক্রমণ’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
আরও পড়ুন : আবার বাড়ল Petrol-Diesel-র দাম, প্রথমবার কলকাতায় ১০০ ছুঁইছুঁই !
শনিবার এমনই নিদান দিয়েছিল দিল্লির সরকারি হাসপাতাল। যা নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। চাপে পড়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিতর্কিত নির্দেশ প্রত্যাহার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দিল্লির গোবিন্দ বল্লভ পন্ত ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (GIPMER)হাসপাতালের বেশিরভাগ নার্সই কেরলের বাসিন্দা। মূলত তাঁদের জন্যই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। হাসপাতালের নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লীলাধর রামচন্দানি জানান, স্বাস্থ্য দপ্তরের এক সিনিয়ার অফিসারের কাছে নার্সদের মালয়ালম ভাষায় কথা বলা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন এক রোগী। তার ভিত্তিতেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। আর তাতেই অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।
Govind Ballabh Pant Institute of Post Graduate Medical Education & Research, Delhi directs all its nursing personnel to use only Hindi&English for communication, warns of serious action if not done. It had received complaint against the use of Malayalam language in the institute pic.twitter.com/jQqCpqjOrn
— ANI (@ANI) June 5, 2021
ঘটনার প্রতিবাদ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। টুইটারে খবরের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লেখেন, “অন্যান্য যে কোনও ভাষার মতোই মালয়ালম ভারতের একটি ভাষা। ভাষা নিয়ে বৈষম্য বন্ধ হোক!” ঘটনার প্রতিবাদ জানান শশী থারুর (Shashi Tharoor), কে সি বেণুগোপালের (KC Venugopal) মতো কংগ্রেস সাংসদরাও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে (Harsh Vardhan) চিঠি লিখে অবিলম্বে এই নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান বেণু গোপাল। নেটদুনিয়ার একাংশও সমালোচনায় মুখর হন।
Malayalam is as Indian as any other Indian language.
Stop language discrimination! pic.twitter.com/SSBQiQyfFi
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) June 6, 2021
চাপে পড়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্দেশ প্রত্যাহার করে গোবিন্দ বল্লভ পন্ত ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ কর্তৃপক্ষ। “সঙ্কীর্ণতা ও গোঁড়ামির বিরুদ্ধে শালীনতা আর কমন সেন্সের ছোট্ট একটি জয়” হিসেবে টুইটারে এই সিদ্ধান্তকে ব্যাখ্যা করেন শশী থারুর।
A small victory for decency and common sense over parochialism & bigotry!! https://t.co/a08HqG3oq5
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) June 6, 2021
আরও পড়ুন : বিজেপির অন্দরেই দিলীপকে ঘিরে বিক্ষোভের ছক, ভাইরাল অডিয়ো