শাড়ি পরে ঢুকতে গেলে এক মহিলাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল দিল্লির অভিজাত রেঁস্তোরায়। সেই রেঁস্তোরা ‘আকিলা’ এবার বন্ধ করার নির্দেশ দিল দক্ষিণ দিল্লি পুরসভা। এই মর্মে রেঁস্তোরায় একটি নোটিশ পাঠিয়েছে দক্ষিণ দিল্লি পুরসভা। এর পরই রেস্তরাঁটি বন্ধ করে দেন মালিক। জানা গিয়েছে রেঁস্তোরাটি এতদিন বিনা হেলথ লাইসেন্সেই ব্যবসা চালাচ্ছিল।
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিল্লি পুরসভার মেয়র মুকেশ সূর্য জানিয়েছেন, শাড়িকাণ্ডের আগে থেকেই আকিলার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। বিশেষ করে রেস্তোরাঁর খাবার নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই তদন্ত কমিটি তৈরি করে পুরসভা। কমিটির রিপোর্টে উঠে আসে হেল্থ লাইসেন্স ছাড়াই চলছিল এই রেস্তরাঁ। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে হোটেল বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, রেস্তরাঁয় পরিদর্শন চালিয়েছিল পুরসভার ইন্সপেক্টর। তখনই দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে রেস্তরাঁটি। রান্নাবান্নাও অস্বাস্থ্যকর। দেখা যায়, হেল্থ লাইসেন্স ছাড়াই চলছে রেস্তরাঁটি। সতর্ক করা সত্বেও লাইসেন্স নেওয়ার ব্যবস্থা করেনি তারা। এর পরই রেস্তরাঁটি বন্ধের নোটিস পাঠানো হয়। সেই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতেই মালিক রেস্তরাঁটি বন্ধ করে দেয়। তিনি জানিয়েছেন, লাইসেন্স নিয়ে ফের রেস্তরাঁটি চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: Digital Health ID Card: ডিজিটাল স্বাস্থ্য কার্ডে কী কী থাকবে, জানুন নাম নথিভুক্তর পদ্ধতি
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিল্লির আনসল প্লাজার ওই পানশালা তথা রেঁস্তোরায় অনিতা চৌধুরী নামক এই সাংবাদিককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি কারণ তিনি শাড়ি পরেছিলেন। তাঁকে নাকি বলা হয়েছিল, ‘স্মার্ট’ ও ‘ক্যাজুয়াল’ পোশাক পরে আসতে হবে রেঁস্তোরায় ঢুকতে হলে। নিজেই ভিডিয়ো করে ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন সেই সাংবাদিক। রেঁস্তরার বক্তব্য শুনে অনিতা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, এত অপমানিত তিনি কোনওদিন বোধ করেননি। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
সমালোচনার মুখে পড়তে হয় রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষকে। যদিও রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিলেন ঘটনাটি ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। সেই ঘটনা নিয়ে যখন তোলপাড় হচ্ছে, তার ঠিক কয়েক দিনের মধ্যেই নোটিস ধরিয়ে রেস্তরাঁ বন্ধ করার নির্দেশ দিল দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগম।
আরও পড়ুন: ‘কংগ্রেস ছাড়ছি’, অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পরদিনই ঘোষণা অমরিন্দরের