শিষ্য খুনে দোষী সাব্যস্ত ডেরা সাচ্চা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিমকে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিল হরিয়ানার পঞ্চকুলার বিশেষ সিবিআই আদালত। ২০০২ সালের ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত অন্য চার অপরাধীকেও সোমবার একই সাজা শোনানো হয়েছে। যাবজ্জীবন জেলের পাশাপাশি, সিবিআই আদালত গুরমিতের ৩১ লক্ষ এবং তাঁর সহ-অপরাধীদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে।
২০০২ সালের ১০ জুলাইয়ে ডেরার ম্যানেজার রঞ্জিত সিংকে হত্যা করা হয়। জানা যায়, রাম রহিমের বিরুদ্ধে মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করে ছড়িয়ে দেওয়া বেনামী চিঠির পিছনে রঞ্জিতের হাত ছিল বলে সন্দেহ করা হয়। সেই কারণেই তাঁকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই মামলার তদন্ত কেন্দ্রীয় তদন্ত দল সিবিআই আদালতে চালিয়ে গেছে। ঘটনার পর ১৯ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর চলতি মাসে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ২০০৩-এর ৩ ডিসেম্বরে সিবিআই এই মামলায় একটি এফআইআর দায়ের করেছিল।
গত ৫ অক্টোবর সিবিআই আদালত গুরমিত-সহ ৫ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। এর পর তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই রণজিৎ খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত গুরমিতের ফাঁসির সাজার আবেদন করেছিল আদালতের কাছে। অন্য দিকে, গুরমিত তাঁর নানা সমাজসেবা মূলক কাজের কথা বলে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে আশ্রমের মধ্যে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণ এবং এক সাংবাদিককে খুনের মামলায় অপরাধী গুরমিত এখন ২০ বছরের জেলের সাজা ভোগ করছেন।
২০১৭-র আগস্টে সহিংসতার কথা মাথায় রেখে এবার রাম রহিমের শুনানি বা শাস্তি ঘোষণার আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়। ২০১৭ সালে ধর্ষণ মামলায় রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পর ৩৬ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। এদিন রোহটকের সুনারিয়া জেলে বন্দি ধর্মগুরুকে ভিডিয়ো কনফারেন্স শুনানিতেও হাজির করানো হয়েছিল। অশান্তির আশঙ্কায় রোহতক, সিরসা-সহ বিভিন্ন এলাকায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।