স্বঘোষিত ধর্মগুরু কালীচরণ মহারাজের (Kalicharan Maharaj) বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল মহাত্মা গান্ধীকে (Mahatma Gandhi) অপমান তথা অবমাননার। ছত্তিশগড়ের রায়পুরে ‘ধর্ম সংসদ’-এ গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের (Nathuram Godse) প্রশংসা করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো (Madhya Pradesh) পর্যন্ত ধাওয়া করে ওই ধর্মগুরুকে গ্রেপ্তার করল ছত্তিশগড় পুলিশ (Chhattisgarh Police)। এদিকে কালীচরণের গ্রেপ্তারিতে না-খুশ মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের (State home minister Naraottam Mishra) অভিযোগ, আন্তঃরাজ্য প্রোটোকোল ভেঙে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত ধর্মগুরুকে।
রবিবার অভিযুক্ত ধর্মগুরুর গান্ধীজিকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে ধর্ম সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মহান্ত রামসুন্দর দাস অনুষ্ঠান ছেড়েও চলে যান। পরদিন কালীচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গের অভিযোগে মামলাও হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রায়পুরের প্রাক্তন মেয়র প্রমোদ দুবে। স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ এনেছিলেন ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস নেতা মোহন মারকামও। শেষ পর্যন্ত ছত্তিশগড় পুলিশ গ্রেপ্তার করল অভিযুক্তকে।
গত ২৬ ডিসেম্বর ‘ধর্ম সংসদে’ কালীচরণ গান্ধীজির বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ভাইরাল ভিডিয়োয় ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে বলতে শোনা যায়, ‘নাথুরাম গডসেজি’কে নমস্কার।’ তারপরই গান্ধীজির বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাইপুরের তিকরাপাড়া থানায় কালীচরণের এফআইআর দায়ের করা হয়। তারপর বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁকে গ্রেফতার করে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের ছত্তিশগড়ের পুলিশ।
কালীচরণের মন্তব্য নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিল কংগ্রেস। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বাঘেল বলেছিলেন, ‘বাপুকে কুকথা বলে আর সমাজে বিষ ছড়িয়ে যদি একজন ভণ্ড মনে করেন যে তিনি তাঁর লক্ষ্যে সফল হয়েছেন, তাহলে এটা তাঁর ভ্রম। তাঁদের বসরাও শুনে রাখুক যে .. যেই ভারতের আত্মা আর সনাতন সংস্কৃতিকে আঘাত করার চেষ্টা করবে। তাঁদের সংবিধানও ছাড়বে না, মানুষও গ্রহণ করবেন না।’