Site icon The News Nest

বাগদত্তাকে যৌনতা ভরা মেসেজ পাঠানো মানে সম্মানহানি করা নয়, মন্তব্য মুম্বইয়ের আদালতের

বাগদত্তাকে অশ্লীল মেসেজ (Dirty message) পাঠালে তাঁকে অসম্মান করা হয় না। এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করল মুম্বইয়ের (Mumbai) এক আদালত। ১১ বছর আগে দায়ের হওয়া এক মামলার শুনানি চলছিল আদালতে। অভিযুক্তের বর্তমান বয়স ৩৬। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

২০০৭ সালে প্রথমবার দেখা হয়েছিল এক তরুণ, তরুণীর। এরপর শুরু হয় প্রেমপর্ব। বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উভয়ই। প্রয়োজনে বাড়ির অমতেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। পরে ওই যুবকের মা চরম অশান্তি শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন  ওই যুবক। এরপ ২০১০ সালে ওই যুবকের বিরুদ্ধে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই তরুণী। এমনকী বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ওই তরুণীকে নানাভাবে অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। এবার সেই মামলার রায় দিল মুম্বই আদালত। অভিযুক্তকে রেহাই দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে বাগদত্তাকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানো নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ আদালতের।

এদিন শুনানির সময় আদালতের তরফে ওই ধরনের মেসেজ প্রসঙ্গে বলা হয়, বিয়ের আগে এই ধরনের মেসেজ আনন্দদায়ক হতে পারে। এবং এর থেকে এটাও প্রকাশ পায় যে একজন অন্যের আবেগকে কতটা কাছ থেকে বোঝার চেষ্টা করেছে। বিচারকের কথায়, ”হতেই পারে যে হয়তো এই ধরনের মেসেজ অপরপক্ষ পছন্দ করল না। তবে তার থেকে এই মানে করা যায় না যে, তা খারাপ উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে নিজের অপছন্দের কথা জানিয়ে দিলে অন্য পক্ষ এমন ভুল আর করে না। অভিযুক্তের মধ্যে যে যৌন অনুভূতি তৈরি হয়েছিল, সেটাই হয়তো তিনি জাগাতে চেয়েছিলেন উলটো প্রান্তের মানুষটির মধ্যেও। হয়তো এতে তিনি আনন্দ পেতেই পারতেন। তাই এই ধরনের এসএমএস পাঠালে তাকে কোনও ভাবেই সম্মানহানির জন্য পাঠানো হয়েছে বলা যাবে না।”

অবশেষে এই মামলায় অভিযুক্তকে রেহাই দেয় আদালত। জানিয়ে দিল, বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকে কোনও ভাবেই প্রতারণা কিংবা ধর্ষণ বলে দাগিয়ে দেওয়া যাবে না।

Exit mobile version