মুরগির মাংস, মটন কিংবা মাছের বদলে গরুর মাংস বেশি করে খান। নিজের রাজ্যের বাসিন্দাদের এই কথাই বললেন মেঘালয়ের (Meghalaya) বিজেপি (BJP) মন্ত্রী সানবোর সুল্লাই। তাঁর দল যে গরুর মাংস খাওয়ার বিরোধী নয়, সম্ভবত ইচ্ছাকৃতই সে কথা বোঝাতে চাইলেন তিনি।
এদিকে বিজেপির লোকেরা মানুষকে নিরামিষ খাওয়ানোর জন্য প্রায় প্রাণপাত করে। আমিষ খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে, তা তাদের আইটি সেলের ছেলেরা লাগাতার পোস্ট করে। সংঘ সামন্ত চায়,সেইভাবেই হয় পোস্ট। বিজেপির এই ফর্মুলা প্রথম থেকেই নর্থ ইস্টে ফ্লপ। এতদিন পরেও যে বিজেপি,মতান্তরে সেখানকার মানুষের ওপর তাদের বিচারধারা চাপিয়ে দিতে পারেনি, সেটা আর একবার প্রমাণ হল।
গো-মাংস ভক্ষণের বিরোধী বিজেপি। দেশের একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্যে এই সংক্রান্ত আইনও আনা হয়েছে। কোথাও আবার গো-মন্ত্রকও গঠিত হয়েছে। সম্প্রতি বিজেপিশাসিত অসম (Assam) বিধানসভায় ‘গবাদি পশু সংরক্ষণ’ বিল পেশ করেছেন মুখ্যমন্তী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। যেখানে বলা হয়েছে, মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গোমাংস বিক্রি নয়। একইসঙ্গে হিন্দু, শিখ ও জৈন সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলিতে গোমাংস ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। কিন্তু সেই বিজেপি দলের মন্ত্রীর গলাতেই যেন উলটো সুর। সিনিয়র বিজেপি নেতা সুল্লাই গত সপ্তাহেই মেঘালয়ের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। এরপরই তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকেরই নিজের পছন্দমতো খাবার খাওয়ার অধিকার রয়েছে।
এদিকে, আবার গত সোমবার অর্থাৎ ২৬ জুলাই সীমান্তে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে অসম ও মিজোরামের পুলিশ বাহিনী। রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে দুই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে। অত্যাধুনিক রাইফেল ও মেশিনগান দিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালায় দুই বাহিনী। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় অসম পুলিশের ছয় কর্মীর। তারপর সমস্যা মেটাতে আসরে নেমেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু কিছুতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না। এহেন সময়ে সমস্যা আরও বাড়িয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে ‘অ্যাটেম্প্ট টু মার্ডার’ বা খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে মিজোরামের পুলিশ।
আরও পড়ুন : Huawei P50, P50 Pro: এই দুরন্ত 4G ফোনে আছে 50-MP ক্যামেরা! জানুন দাম ও স্পেসিফিকেশন