মাত্র আর তিন দিন। এর মধ্যেই পিএফ অ্যাকাউন্টের (EPF Account) সঙ্গে আধার নম্বর জুড়ে ফেলার কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। অন্যথায় আগামী মাস থেকে পিএফের সমস্ত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন কর্মচারীরা। তাই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিএফ অ্যাকাউন্ট এবং আধার (Aadhaar Link) নম্বর লিংক করিয়ে ফেলতে হবে।
কোড অফ সোশ্যাল সিকিউরিটি-২০২০-র ১৪২ ধারার সংশোধন করে চলতি বছরের জুন মাসে কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছিল যে, পিএফের যে সব সদস্য ৩১ অগস্টের মধ্যে তাঁদের ইউএএন-এর সঙ্গে আধার কার্ড জুড়বেন না, পিএফ খাতে তাঁদের বেতন থেকে কাটা এবং নিয়োগকারীর তরফে প্রদেয় টাকা পিএফ দফতরের অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে না। পিএফের সমস্ত পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত হবেন তাঁরা। ওই সময়ে চাকরি ছাড়লে পিএফের টাকা তুলতে পারবেন না।
কেন্দ্রের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করে শিল্প সংস্থাগুলির সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডাস্ট্রিজ’। আবেদনকারী পক্ষের দাবি ছিল, এই নিয়মে সমস্যায় পড়ছে বহু সংস্থা। বহু ক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাড়ি থেকে কাজের জায়গায় ফেরার পরে নথি দিতে গিয়ে অসুবিধায় পড়ছেন। আবেদনকারী পক্ষের যুক্তিতে সায় দিয়ে দিল্লি হাই কোর্ট পিএফের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করার সময়সীমা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
কেন্দ্রের নির্দেশিকা জানাচ্ছে, পিএফ-আধার লিঙ্ক না-করা হলে ইপিএফ খাতে কর্মচারীদের বেতন থেকে কাটা এবং নিয়োগকারীর তরফে প্রদেয় টাকা পিএফ দফতরের অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে না। চাকরি ছাড়ার পরে পিএফের টাকা তুলতেও সমস্যা হবে।