Farmers' Protest: Tear gas fired as thousands march on fortress Delhi

Farmers’ Protest: কৃষকদের অভিযান রুখতে দিল্লিতে নিরাপত্তার দুর্গ, ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়ল পুলিশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

২০২০র স্মৃতি উসকে ফের ‘দিল্লি চলোর’ ডাক দিয়েছেন কৃষকরা।  যা রুখতে সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। ব্যারিকেড আর কাঁটাতার দিয়ে পথ আটকে দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। এক মাসের জন্য জমায়েতও নিষিদ্ধ হয়েছে দিল্লিতে। একইভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হরিয়ানার সীমানাও। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার শম্ভু সীমানায় কৃষকদের প্রতিবাদ মিছিল রুখতে ড্রোন থেকে ছোড়া হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের শেল। মঙ্গলবার সকালে দিল্লির দিকে যাত্রা শুরু করে কৃষকদের বিরাট মিছিল। তার পরেই পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় শম্ভু এলাকায় কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করে পুলিশ। অথচ তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখা তো দূরের কথা, উলটে বিক্ষোভ দমন করতে কার্যত ‘আয়রন হ্যান্ড’ পলিসি নিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার।

কৃষকদের দু’টি বড় সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং কিসান মজদুর মোর্চা গত ডিসেম্বরেই দাবি আদায়ে ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দেয়। দু’টি সংগঠনের আওতায় মূলত পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের সাড়ে তিনশোটি ছোট-বড় কৃষক সংগঠন রয়েছে। মূলত তিন দফা দাবি নিয়ে রাজধানী অভিমুখে এই মিছিল -ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য, কৃষিঋণ মকুব এবং স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাবের রূপায়ণ। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে প্রতিবাদী কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান। মিছিলে বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকেরা থাকলেও নেতৃত্বে থাকবেন পঞ্জাবের  সাঙরুর কৃষকেরা। মিছিলে থাকবে প্রায় আড়াই হাজার ট্রাক্টর।

শেষ মুহূর্তে প্রতিবাদী কৃষকদের বুঝিয়ে আন্দোলনের পথ থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল কেন্দ্র। সোমবার মধ্যরাতে চণ্ডীগড়ে কৃষকদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা এবং কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। কিন্তু পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকের শেষেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি।কেন্দ্রীয় দুই মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর কৃষকনেতা তথা ‘পঞ্জাব কিসান মজদুর সংঘর্ষ কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক সারওয়ান সিংহ পান্ধের জানান, তাঁর সংগঠন ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রাখছে। তার পরই কেন্দ্রকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “আমাদের দাবি সরকার পূরণ করবে, এমনটা আমরা ভাবিনি। যদি সরকার আমাদের কিছু দিত, তা হলে আমরাও আমাদের আন্দোলনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতাম।”

বৈঠকে বসে ২০২০ সালের ইলেকট্রিসিটি আইন বাতিল করার বিষয়ে কৃষক নেতাদের আশ্বস্ত করেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনায় কৃষকদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলা প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু কৃষকদের মূল তিনটি দাবি নিয়ে দু’পক্ষ কোনও স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। বৈঠকের পর বৈঠকে যোগ দেওয়া কৃষকদের এক প্রতিনিধির অভিযোগ, দু’বছর আগে কৃষকদের অর্ধেক দাবি মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কেন্দ্র কিছুই করেনি। কৃষকেরা শান্তিপূর্ণ ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও সরকার সময় নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ তাঁর।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest