FIR lodged against two women journalists in Tripura

খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ত্রিপুরা পুলিশের রোষানলে দুই মহিলা সাংবাদিক, মুক্তির দাবি গিল্ডের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

এবার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ত্রিপুরা পুলিশের রোষানলে পড়তে হল দুই মহিলা সাংবাদিককে। সমৃদ্ধি সাকুনিয়া এবং স্বর্ণা ঝা নামে ওই দুই সাংবাদিককে রবিবার সন্ধ্যায় আটক করেছে পুলিশ। দিল্লি ভিত্তিক একটি নিউজ চ্যানেলের জন্য কাজ করেন এই দুই সাংবাদিক। ত্রিপুরায় সহিংসতার ঘটনার গ্রাউন্ড রিপোর্টের জন্য তাঁরা রাজ্যে এসেছিলেন। অসমের করিমগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে নীলমবাজার থানার পুলিশ।

ত্রিপুরার কাকরাবানের দরগাবাজাক এলাকায় সম্প্রতি একটি মসজিদে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। সংখ্যালঘুদের দোকানও পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই ঘটনারই খবর সংগ্রহ করতে গেছিলেন সমৃদ্ধি এবং স্বর্ণা। ওই মসজিদে ছানবিন করার পর একটি টুইট করেছিলেন সমৃদ্ধি। তার ভিত্তিতেই সমৃদ্ধির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বজরং দলের এক সদস্য। যদিও বিজেপি শাসিত রাজ্যের পুলিশের দাবি, মসজিদে ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো হয়নি।

এরপরেই তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। ত্রিপুরা পুলিশের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, ওই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক সমর্থক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই এফআইআর বলে জানানো হয়েছে।

রবিবার সকালে তাঁরা অভিযোগ করেন, ত্রিপুরার যে হোটেলে রয়েছেন, সেখানে পুলিশ আসে। তাঁদের রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়। তাঁরা সহযোগিতা করলেও আগরতলার উদ্দেশে তাঁদের রওনা হতে দেয়নি ত্রিপুরা পুলিশ। হোটেলের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ১৬ থেকে ১৭ জন পুলিশ কর্মী। ২১ নভেম্বর তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে জানায় পুলিশ। যদিও শেষ পর্যন্ত আটকই করা হয় দু’‌জনকে।

এর পরেই সমৃদ্ধি টুইটারে লিখেছেন, অসমের করিমগঞ্জে নিলামবাজার থানায় আটক করে রাখা হয়েছে তাঁদের। আটক করার নির্দেশ দিয়েছেন গোমতী জেলার এসপি। সমৃদ্ধিরা আরও জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই আটক করা হয়েছে। সাড়ে তিন ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখার পর ত্রিপুরা থেকে পুলিশের একটি দল আসে। তাঁরা ওই দলকে জানান, যে তাঁদের আইনজীবীরা আসছেন। তার পরই পদক্ষেপ করুক ত্রিপুরা পুলিশ। কিন্তু পুলিশের ওই দল কিছুই শুনতে চায়নি। সাংবাদিকদের অভিযোগ, তাঁদের আটক করার কোনও নির্দেশাবলীও দেখানো হয়নি।

ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে এডিটরস’‌ গিল্ড অফ ইন্ডিয়ার। ধৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবিও তুলেছে টুইটারে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest