বেঙ্গালুরুতে আত্মঘাতী হয়েছেন এক পরিবারের চার সদস্য। অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ন’মাসের এক শিশুরও। পরিবারের আর এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিন দিন ধরে মৃতদেহের সঙ্গে ঘরের মধ্যেই ছিল দু’বছরের ওই শিশু। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম ভারতী(৫১), তার দুই মেয়ে সিঞ্চনা(৩৪) ও সিন্ধুরাণী(৩৪), তাঁর ছেলে মধুসাগর(২৫) ও শিশু কন্যা। পচন ধরা অবস্থায় দেহগুলি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি সম্ভবত তিনদিন আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছিল। বাড়ির একটি হলঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভারতীর দেহ। দুই মেয়ের দেহ ঝুলছিল একতলার ঘরে। ওখানেই নয় মাসের শিশুটি মৃত অবস্থায় পড়েছিল। মধুসাগরের দেহ যেখানে ঝুলছিল সেখানেই অচৈতন্য অবস্থায় শুয়েছিল দু বছর বয়সী ওই শিশু কন্যাটি। তবে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।
বেঙ্গালুরু পুলিশের এক আধিকারিক সঞ্জীব এম পাতিল বলেন, ‘‘বাড়ির মধ্যে আমরা পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। এক শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে চার জন আত্মহত্যা করেছেন। না খেতে পেয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান দিন তিনেক আগে তাদের মৃত্যু হয়েছে। দেহগুলিতে পচন ধরেছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ দিন আগে গৃহকর্তা এইচ শঙ্করের সঙ্গে তাঁর মেয়ের ঝগড়া হয়। তার পরেই রাগের মাথায় বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি। রাগ কমলে বাড়িতে ফোন করেন শঙ্কর। বেশ কয়েক বার ফোন করলেও কেউ ফোন তোলেননি। শুক্রবার তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। ঘরে ঢুকে স্ত্রী, ছেলে ও দুই মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান শঙ্কর। ঘরের মেঝেতে ন’মাস বয়সি নাতনির দেহ পড়েছিল। আর এক নাতনি অবশ্য বেঁচে ছিল। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।