Veteran Congress leader and six-time Himachal Pradesh CM Virbhadra Singh passes away

প্রয়াত হিমাচল প্রদেশের ৬ বারের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভারতীয় রাজনীতিতে ফের ইন্দ্রপতন। দীর্ঘ রোগভোগের পর মৃত্যু হল বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাঁর জীবনাবসান হয়।

প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গত সোমবার নতুন করে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তারপর থেকেই সংকটজনক অবস্থায় দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজের (IGMC) ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভরতি ছিলেন। আসলে ৮৭ বছর বয়সি প্রবীণ নেতা এর আগে দু’বার করোনার কবলে পড়েছিলেন। প্রথমবার তিনি এই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েন ১২ এপ্রিল। সুস্থও হয়ে যান। ১১ জুন ফের তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) হদিশ মেলে। সেবারেও করোনামুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু দু’বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার ধকল সইতে পারেনি বীরভদ্র সিংয়ের শরীর। বেশ কিছু জটিল সমস্যা দেখা গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার ভোরে প্রয়াত হন তিনি।

আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ! মন্ত্রিত্বে উত্তরণ নিশীথ- শান্তনুর

বীরভদ্র সিং প্রায় ৬ দশক রাজনীতিতে ছিলেন। হিমাচল প্রদেশের ৯ বারের বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি পাঁচ বার সাংসদও নির্বাচিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে মোট ৬ বার হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সদ্যপ্রয়াত কংগ্রেস নেতা। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সময় ধরে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী থাকার রেকর্ড তাঁর দখলেই আছে। প্রথমবার ১৯৮৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী হন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এর মধ্যে একাধিকবার রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার আসনেও বসেন।

যদিও, নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারের শেষদিকে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল হিমাচলের ‘রাজা সাহেবে’র বিরুদ্ধে। ইডি-সিবিআইয়ের মতো এজেন্সিও তাঁর বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছিল। তাতে অবশ্য দমে যাননি বীরভদ্র। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত BJP বিরোধিতা করে গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে হিমাচল কংগ্রেসে বড়সড় শূন্যতার সৃষ্টি হল। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেরাজ্যে কংগ্রেস (Congress) কার্যত দিশেহারা হয়ে গেল।

হিমাচলের রাজপরিবারের ছেলে বীরভদ্র সারাহানে জন্মগ্রহণ করেন ২৩ জুন ১৯৩৪ সালে। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্সে পড়াশুনো করেছিলেন তিনি। আক্ষরিক অর্থেই ওল্ড স্কুল রাজনীতিবিদ বীরভদ্রের কথার মধ্যেই স্পষ্ট হত তাঁর শিক্ষাদীক্ষা, আভিজাত্য। শুধু কংগ্রেস নয়, হিমাচল প্রদেশের রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল বীরভদ্রের প্রয়াণে।

আরও পড়ুন: ‘হিন্দু নাম ধার করে ফিল্ম জগতে রোজগার করা ইউসুফ খানের মৃত্যু অপূরণীয়’, ন্যাক্কারজনক ট্যুইট বিজেপির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest