Four years after crib deaths, UP sacks Kafeel for ‘laxity’

গোরক্ষপুর শিশুমৃত্যু তদন্তে বেকসুর, তবু বরখাস্ত করা হল কাফিলকে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

উত্তরপ্রদেশের ভোটের মুখে ডাঃ কাফিল খানকে (Kafeel Khan) বরখাস্ত করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। অভিযোগ, চারবছর আগে গোরক্ষপুর বিআরডি কলেজের শিশুমৃত্যু ঘটেছিল তাঁর গাফিলতিতেই। কাফিলের সঙ্গে আর যে সাতজন চিকিৎসক অভিযুক্ত ছিলেন, তাঁরা কেউই শাস্তি পাননি। শাস্তি পেলেন শুধু এই প্রতিবাদী চিকিৎসক। অথচ, আদালত এই মামলায় আগেই তাঁকে ক্লিনচিট দিয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই সরকারি ফরমানে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন লড়াকু কাফিল। জানিয়েছেন, ‘এই সরকারের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি আর কী আশা করা যায়? আমি আদালতে যাব।’ টুইটে বরখাস্ত হওয়ার নোটিসটির ছবি দিয়ে কাফিল লিখেছেন, ‘সরকার অক্সিজেন সরবরাহকারীদের দাম না-মেটানোয় ৬৩টি শিশুর মৃত্যু হল। ৮ জন ডাক্তার ও স্থাস্থ্যকর্মীকে সাসপেন্ড করা হল। এদের মধ্যে ৭ জনকে পুনর্বহাল করা হল। অবহেলা ও দুর্নীতির অভিযোগ থেকে তদন্ত কমিটি সম্পূর্ণ রেহাই দেওয়ার পরেও আমাকে বরখাস্ত করা হল। ন্য়ায় না অন্যায়? আপনারাই বিচার করুন!’

চার বছর আগে ২০১৭-র অগস্টে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের কেন্দ্র গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ৬৩টি শিশু অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়। দীর্ঘদিন সরকার অক্সিজেন সরবরাহকারীদের বিল না-মেটানোয়, তারা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য মন্ত্রককে বিপদের আশঙ্কা আগাম জানানো সত্ত্বেও সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অক্সিজেনের অভাবে শিশুগুলির অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ছে, খবর পেয়ে ছুটির মধ্যেও হাসপাতালে ছুটে আসেন কাফিল খান। পরিচিত লোকের কাছ থেকে শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে এসে শিশুগুলিকে বাঁচাতে চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তত ক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। বাঁচানো যায়নি কাউকে। এ খবর প্রকাশ হওয়ার পরে সে দিন ডিউটিতে থাকা সব ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীকে সাসপেন্ড করে তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ, ধর্মের কারণে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করা হয় কাফিলকে। সাসপেন্ড হয়েও হাসপাতাল‌ে ঢোকার অপরাধে আর এক দফা তাঁকে সাসপেন্ড করে সরকার, যা আদালত খারিজ করে দেয়।

২০২০-তে সিএএ-র বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করে জাতীয় সুরক্ষা আইনের ধারায় অভিযুক্ত করে বিজেপি সরকার। আট মাস জেলে থাকার পরে এলাহাবাদ হাই কোর্ট ওই সিদ্ধান্তের জন্য যোগী সরকারকে তুলোধোনা করে কাফিল খানকে ন্যাশনাল সিকিওরিটি অ্যাক্ট-এর ধারা থেকে মুক্তি দেন। সরকার নিযুক্ত তদন্ত কমিটিও দু’বছর আগে কাফিল খান-সহ সাসপেন্ড সকলের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি এবং চক্রান্তের অভিযোগ খারিজ করে দেয়। এর পরে বাকি ৭ জনকে পুনর্বহাল করা হলেও কাফিলের বিষয়টি ঝুলিয়েই রাখা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁকে বরখাস্তের চিঠি পাঠানো হল। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে সরকারের এই সিদ্ধান্তের খবর এবং নির্দেশের কপি বেসরকারি ভাবে পেলেও কাফিলের কাছে এখনও সেই নোটিস আসেনি। তবে কাফিল জানিয়েছেন, আদালতের প্রতি তাঁর ভরসা আছে। বরখাস্তের নোটিস হাতে পেলেই তিনি আদালতে যাবেন।

১০ নভেম্বর অর্থাৎ বুধবার কাফিলকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,”তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরই কাফিল খানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু এটা বিচারাধীন বিষয় হওয়া এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়।” অথচ, সরকার নিযুক্ত তদন্ত কমিটিই দু’বছর আগে কাফিল খান-সহ সাসপেন্ড সকলের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি এবং চক্রান্তের অভিযোগ খারিজ করে দেয়। স্বাভাবিকভাবেই সরকারের গাফিলতির যুক্তি মানতে নারাজ কংগ্রেস (Congress)। তাঁদের সাফ কথা, কাফিলের বরখাস্ত হওয়ার ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক রূপ প্রকাশ্যে চলে এল।”

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest